গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে মারধর করে গুচ্ছগ্রাম থেকে এক পরিবারকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘরের আসবাবপত্রও নিতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে রাত যাপন করছেন তিনি।

জানা গেছে, বসতভিটা না থাকায় জহুরুল ইসলাম নামের ওই ব্যক্তি তাঁর মা, স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের চকরহিমাপুর গ্রামের গুচ্ছগ্রামে থাকতেন। তিনি ভ্যান চালিয়ে পরিবার নিয়ে অতিকষ্টে জীবনধারণ করেন।

জহুরুল অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা অজুহাতে গ্রাম পুলিশ হারুন ও তাঁর লোকজন নানাভাবে ভয়ভীতিসহ হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন তাঁকে। বুধবার কোনো কারণ ছাড়াই তাঁকে মারতে আসেন হারুন। তিনি পালিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা পাননি। সেখান থেকে ধরে নিয়ে এসে তাঁকে মারধর করা হয়। পাশাপাশি তাঁর ঘরে তালা দিয়ে পরিবার সদস্যসহ বের করে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, সাপমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাকিল আকন্দ বুলবুল গ্রাম পুলিশ হারুনের ফুফাতো ভাই। সেই সুবাদে হারুনকে গুচ্ছগ্রাম দেখভালের দায়িত্ব দেন চেয়ারম্যান। পাঁচ বছর আগে ওই গুচ্ছগ্রাম নির্মিত হলেও এখনও তা বাসিন্দাদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে হারুন যাদের কাছ থেকে ঘর বাবদ টাকা নিয়েছেন, শুধু তাদেরই সেখানে থাকতে দেওয়া হয়। যারা টাকা দিতে পারছে না, তাদের বিভিন্ন কারণে মারধরসহ হয়রানি করা হয়। গুচ্ছগ্রামে বাড়ি থাকার পরও তিনি দখলে রেখেছেন তিনটি বাড়ি।

তবে হারুনের দাবি, নানাভাবে জহুরুল গুচ্ছগ্রামের লোকজনকে বিরক্ত করে আসছিলেন। তাঁকে নিয়ে কয়েকবার সালিশও করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তাঁকে যেতে বলা হয়েছে। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। ঘর নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ এড়িয়ে যান হারুন। তবে তাঁর দখলে দুটি ঘর রয়েছে বলে স্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে বারবার চেষ্টা করেও সাপমারা ইউপি চেয়ারম্যানের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ইউএনও আরিফ হোসেন জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।