ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও প্রতিনিধি শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং নওগাঁয় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

শনিবার দুপুরে নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী। বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা শাখার সদস্য সন্তু মিত্র ও শহিদুল ইসলাম, সমাজাতিন্ত্রক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতা শাহেদ হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন সিকদার প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও দেশে গণতন্ত্র নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবন-যাপন এখন বিপন্ন। কিন্তু এত কিছুর পরেও সরকার তাদের ভাবমূর্তি খোঁজে।

বক্তারা বলেন, লুটপাট ও টাকা পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হলো, অথচ এসব কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় না। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে বাসদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর সদর রোডসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফকিরবাড়ি সড়কের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে শনিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে ‘বর্তমান সময়ে ছাত্রদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের ফকিরবাড়ি রোডস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফেডারেশন জেলা শাখার সভাপতি জাবের মোহাম্মদ। আলোচনায় অংশনেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ড, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিরাজ, ছাত্র ফেডারেশনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক জামান কবির ও সদস্য সচিব সানজিলা খাতুন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় বক্তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা টেনেটুনে জীবন-যাপন করছে। এসব খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় সরকার ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার ও সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে শামসুজ্জামানের মুক্তি ও প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।