চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালে বৃষ্টির পর নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। সড়কে পানি থাকায় বাধাগ্রস্ত হয় যান চলাচল। দুর্ভোগে পড়েন পথচারীরা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা ও সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চঙ্গ্যা জানান, শনিবার চট্টগ্রাম নগরীসহ আশপাশের এলাকায় আকাশ মেঘলা ছিল। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়ে ৭টা ৫০ পর্যন্ত চলে। এ সময় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যায়। এটি মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত।

জানা যায়, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন কাজের জন্য নগরের বিভিন্ন খাল ও নালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে পানি নিষ্কাশনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল আধাঘণ্টা বৃষ্টির পর বহদ্দারহাট, চকবাজার, প্রবর্তক, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, শান্তিবাগ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ নগরীর আরও অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নামতে অনেক সময় লেগে যায়। এর ফলে সকালে কর্মজীবীরা দুর্ভোগে পড়েন।

বহদ্দারহাট-সংলগ্ন আরাকান হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দা আশফাক আলম বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে বেরিয়ে দেখি বহদ্দারহাট এলাকার রাস্তায় পানি। সামান্য বৃষ্টিতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ভারী বৃষ্টিতে কী হবে?

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, খালে বাঁধ ও খাল মাটিতে ভরাট থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। খাল খরাট থাকায় পানি সরতে পারছে না। খালগুলো পরিষ্কার করতে সিটি করপোরেশন থেকে বারবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, খালগুলো থেকে বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। পানি নিষ্কাশনে বাধা নেই। শুধু চশমা খালে কালভার্ট নির্মাণের জন্য বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, পানি জমে থাকায় তা কেটে দেওয়া হয়েছে। এখন আর বাধা নেই।