- সারাদেশ
- শ্বশুরের দেওয়া আগুনে নিভে গেল গৃহবধূর জীবনপ্রদীপ
শ্বশুরের দেওয়া আগুনে নিভে গেল গৃহবধূর জীবনপ্রদীপ

ফাইল ছবি
রংপুরের মাহিগঞ্জে শ্বশুরের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন সালমা আক্তারের (২৪) নামের এক গৃহবধূ। শুক্রবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জের আক্তার মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সালমার। তাদের ২২ মাসের একটি ছেলে রয়েছে।
নিহত সালমার বড় বোন আলেমা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে সালমার শ্বশুর-শাশুড়ি যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। ২৮ মার্চ সকালে শ্বশুর আক্তার মিয়া গৃহবধূ সালমার ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় সালমা বাধা দিলে তার শরীরে আগুন দেওয়া হয়। তার স্বামী স্বপন মিয়া খবর পেয়ে আগুন নেভাতে এলে তিনিও পুড়ে যান। এতে তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।
পরে সালমাকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ওই দিনই তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। ঘটনার চারদিন পর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সালমার শাশুড়ি রশিদা বেগম, ননদ বিলকিস এবং আলেয়া।
এ ঘটনায় সালমার মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে শ্বশুর আক্তার মিয়া, শাশুড়ি রশিদা বেগম, ননদ বিলকিস ও আলেয়াকে আসামি করে মাহিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
সালমার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মামলা দায়ের পর থেকে শ্বশুর ও বাড়ির অন্যরা পালিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন