- সারাদেশ
- ঈদের ছুটি না বাড়লে যানজট-দুর্ঘটনায় ভুগতে হবে
যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ঈদের ছুটি না বাড়লে যানজট-দুর্ঘটনায় ভুগতে হবে

সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ছবি-সমকাল
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২২ এপ্রিল শনিবার হবে ঈদ। এর আগের দিন শুরু হবে ছুটি। এবার শুক্র-শনিসহ ঈদের ছুটি মাত্র তিন দিন। অল্প ছুটি আর বৃষ্টি এবার ভোগাতে পারে ঈদে গ্রামমুখো যাত্রীদের। তাই ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করতে পারে। এছাড়াও এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও প্রায় ৫ কোটি মানুষ ঈদে বাড়ি যেতে পারে। এতে বাড়তি প্রায় ৯০ কোটি ট্রিপ হতে পারে। ১৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ রাজধানী ছাড়বেন। কিন্তু গণপরিবহনের মধ্যে সড়কপথে ছয় থেকে ১০ লাখ, নৌপথে আট থেকে ১০ লাখ, রেলপথে দেড় লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারে।
আগামী ১৯ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। ২০ এপ্রিল অফিস আদালত খোলা। ২১ থেকে ঈদের ছুটি। মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ২০ এপ্রিল ছুটি না থাকায় ৫০ লাখ যাত্রীর বড় অংশ আটকে যাবেন। ওইদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কমতে পারে। নয়ত ২১ এপ্রিল সড়ক-রেল-নৌ পথে প্রচুর চাপ পড়বে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন টোল পয়েন্টের কারণে জাতীয় মহাসড়কে যানজট হয় ঈদের সময়। অতিরিক্ত যাত্রী ও বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে প্রতিবছর সড়ক ও নৌ পথে ফিটনেসবিহীন যানবাহন নামে। এগুলো বিকল হয়ে যানজট হয়। ঘটে দুর্ঘটনা। একজন চালককে ১৫ ঘন্টা বিরামহীনভাবে যানবাহন চালাতে বাধ্য করা হয়। এতেও দুর্ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে। ঈদযাত্রার টিকিট শতভাগ অনলাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে রেলপথের যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়তে পারে। দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এখনো অনলাইনের জন্য প্রস্তুত নয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।
মন্তব্য করুন