টাঙ্গাইলের পারিবারিক কলহের জেরে ২৭ বছর আগে মাকে হত্যা করে আত্মগোপন করেন ছেলে বাদশা মিয়া। গ্রেপ্তার এড়াতে নাম-পরিচয়ও পরিবর্তন করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি র‍্যাবের জালে ধরা পড়েছেন।

আজ রোববার ভোরে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাদশা কালিহাতী উপজেলার কালোহা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে।

টাঙ্গাইল র‍্যাবের ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ১৯৯৬ সালে বোনের সঙ্গে ঝগড়া হয় বাদশা মিয়ার। এ সময় বাঁশের লাঠি দিয়ে বোনকে মারতে গেলে তাদের মা তমিরন নেছা বাদশার হাত থেকে লাঠিটি কেড়ে নেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাশেই পড়ে থাকা দা নিয়ে মা তমিরন নেছাকে কোপ দেন বাদশা। এতে ঘটনাস্থলেই তমিরন নেছার মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।

ঘটনার পর বাদশার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় হত্যা মামলা হয়। বিচার শেষে ২০০৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত বাদশা মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

এদিকে মাকে হত্যার পর আলী আকবর নাম দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন বাদশা মিয়া। প্রথমে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় থাকতেন তিনি। এরপর আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। চার বছর ধরে কান্দাইল এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালাতেন তিনি। এই খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।