শরীর খারাপ লাগার কথা বলে মেয়েকে ফুফুর কাছে রেখে ঘরের দরজা বন্ধ করেন রিনা খাতুন (২৪)। মেয়ে ঘণ্টাখানেক খেলাধুলা করার পর ঘরে এসে মাকে না পেয়ে কান্না করতে থাকে। মাকে খুঁজতে খুঁজতে আসে তাদের ঘরের বারান্দার কক্ষে। কক্ষের দরজায় কান্না করতে থাকে শিশু তোফামণি। তার কান্নার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। অনেক ডাকাডাকি করেও রিনার সাড়া না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দেন বাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। 

শুক্রবার দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রাম থেকে গৃহবধূ রিনার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, রিনা খাতুন নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। সাত বছর আগে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামের সোহাগ মিয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে তোফামণি নামে আড়াই বছর বয়সী সন্তান রয়েছে।

রিনার শ্বশুর হাবিবুর রহমান জানান, গত ছয় থেকে সাত মাস ধরে তাঁর পুত্রবধূ মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। প্রচণ্ড মাথাব্যাথা ও শরীর জ্বালাপোড়া করত। অনেক চিকিৎসক দেখিয়ে কোনো লাভ হয়নি। 

রিনার বাবা দুলাল মিয়ার ভাষ্য, মারা যাওয়ার আগের রাতেও তাঁর মেয়েকে কবিরাজি চিকিৎসা দেওয়া হয়। কীভাবে চলে গেল– এ কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।