ফুটপাথে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসাদ বেগম এ আদেশ দেন। এর আগে মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির অভিযোগপত্র দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। কিন্তু পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নানা আপত্তি তোলেন মেয়র আইভীসহ এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা। আদালতে নারাজি দেন সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা। এরপর সোমবার মামলাটির শুনানি শেষে পুনঃতদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।

২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকরা মেয়র আইভীর উপর হামলা চালায়। এসময় মেয়র আইভী, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সবুজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর শামীম ওসমানের অনুসারীদের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় এজাহার জমা দেন সিটি মেয়র। কিন্তু সেটি মামলা হিসেবে না নিয়ে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে রেকর্ড করা হয়। ঘটনার ২২ মাস পর ওই এজাহার আদালতের নির্দেশে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে পুলিশ।

মামলায় শামীম ওসমানের অনুসারী ৯ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত ৯০০ থেকে ১০০০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

ঘটনার দিনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দুই আসামিকে অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেলেও অভিযোগপত্রে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়াও এজাহারভুক্ত কয়েকজন আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে এ অভিযোগপত্রের ব্যাপারে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারাজি দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে গত ২৯ জানুয়ারি এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি দিয়ে পুনঃতদন্তের আবেদন জানান সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা মামলার বাদী জিএম সাত্তার।