- সারাদেশ
- স্বর্ণ চোরাকারবারিরা সক্রিয় সীমান্তে
স্বর্ণ চোরাকারবারিরা সক্রিয় সীমান্তে

ফাইল ছবি
ঝিনাইদহের ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে সোনা চোরাকারবারিরা। সীমান্তের এই এলাকা চোরাকারবারিদের অনেকেই নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিজিবির অভিযানে বেশ কয়েকটি স্বর্ণের চালান আটক হয়।
তবে বিজিবি বলছে, স্বর্ণ পাচারের ক্ষেত্রে সীমান্ত এলাকা বেছে নেওয়া হলেও তা দেশে আসছে বিভিন্ন স্থল ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে।
১৩ এপ্রিল উপজেলার নেপার মোড় এবং ভালাইপুর সেতু এলাকা থেকে ৮ স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে আটক করে বিজিবি। আটকরা হলো– মহেশপুরের কাঞ্চনপুর গ্রামের আলিমুল হক, কুল্লাহ গ্রামের এনামুল হক ও কাঞ্চনপুর গ্রামের আহসান হাবিব। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের তথ্য অনুযায়ী, মহেশপুরে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ১১ কিলোমিটারে নেই কাঁটাতারের বেড়া। এ এলাকা দিয়ে গত জানুয়ারি থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ৫ কেজি ৩৯৫ গ্রাম ওজনের ৪৫টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। আটক করা হয় আটজনকে। উদ্ধারকৃত এই স্বর্ণের মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ৮০ লাখ ১৮ হাজার ১৭৬ টাকা। এসব ঘটনায় থানায় ছয়টি মামলা করা হয়।
স্থানীয়দের ভাষ্য, এই সীমান্তের যাদবপুর, মাটিলা, লেবুতলা, বাঘাডাঙ্গা, খোসালপুর, শ্রীনাথপুর, জলুলী এলাকা দিয়ে রাতে স্বর্ণ ও মাদকদ্রব্য পাচার হয়ে থাকে। দিনের বেলায়ও হয়।
ঝিনাইদহ বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধীনে জেলার মহেশপুর সীমান্ত ছাড়াও রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৪ কিলোমিটার অংশ। ৫৮ ব্যাটালিয়নের আওতায় ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার একাংশের সীমান্ত এলাকায় ২০২২ সালে ৩৮ কেজি ৪০ গ্রাম ওজনের ২৪৭টি বার উদ্ধার করা হয়। আটক হয় আটজন এবং মামলা হয় ১২টি।
সীমান্তবর্তী যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জানান, সীমান্তের মাটিলাসহ কয়েকটি এলাকায় কাঁটাতার নেই। কিছু জায়গার কাঁটাতার ভারতের ভেতরে ও খুবই জরাজীর্ণ। বিজিবির দায়িত্বরত সদস্যরা এ স্থান থেকে সরলেই স্বর্ণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ভারতের অংশে। ভেতরে কাঁটাতার দেওয়া ভারতের অংশ সহজ পথ। একটা চালান ধরা পড়ছে তো পাঁচটি বেরিয়ে যাচ্ছে।
এই জনপ্রতিনিধির দাবি, স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে দুই দেশের অনেক বড় মাস্টারমাইন্ডরা জড়িত। তাদের সহযোগিতা করে সীমান্তের কিছু মানুষ এবং আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্সরা। সোর্স যদি সঠিক তথ্য দিত, তাহলে হয়তো বিজিবি আরও বেশি তৎপরতা দেখাতে পারত।
বিজিবি-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা বলেন, সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবি সতর্ক রয়েছে। এ কারণেই স্বর্ণ, মাদকসহ অন্য মালামাল আটক করছে বিজিবি। স্থল ও বিমানবন্দরের মাধ্যমে স্বর্ণ দেশে ঢোকে। এসব স্বর্ণ বিভিন্ন মাধ্যমে ভারতে চলে যায়। ভারতে স্বর্ণের সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় চোরাকারবারিরা সীমান্ত এলাকা বেছে নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন