নরসিংদীর শিবপুরের কারার চরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জগামী মায়ের দোয়া নামে একটি বাস কারার চরে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

মনির হোসেনের মরদেহ নরসিংদীর জেলা হাসপাতালে রাখা হয়-সমকাল 

দুর্ঘটনায় নিহতের নাম মনির হোসেন (২২)। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। মনির ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাউছিয়ায় ফকির কটন মিল নামে একটি কারখানায় চাকরি করতেন তিনি। 

মামা, মামিসহ পরিবারের পাঁচজন মিলে ঈদ উদযাপন করতে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। মরদেহ নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে রয়েছে। মরদেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন মনিরের স্বজনরা। 

দুর্ঘটনায় আহতরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।   

এদিকে দুর্ঘটনার পর সড়কের উভয় দিকে ১০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ এসে রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নেয়। তারপর থেকে আস্তে আস্তে যানজট কমতে শুরু করেছে।    

যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হওয়ায় সড়কে ঘরমুখো হাজার হাজার মানুষ সড়কে আটকা পড়েন। এতে ভোগান্তির মুখে পড়েন শিশু-নারী-পুরুষসহ যাত্রীরা। 

নরসিংদীর ভেলানগর, জেলখানা মোড় থেকে শুরু করে শহরের প্রবেশ প্রান্ত শাহ প্রতাপ পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।  

তীব্র যানজট থাকলেও এ পথে অল্প সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে। এছাড়া নরসিংদীর মাধবদী এলাকায়ও তীব্র যানজট তৈরি হয়। 

এ বিষয়ে ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর হায়দার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রেকার পাঠিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাস দুটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর যানজট স্বাভাবিক হয়।