রাজশাহীর কয়েকটি উপজেলায় তাণ্ডব চালিয়েছে কালবৈশাখী ও শীলাবৃষ্টি। এ সময় ৪১ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এতে আম, ধান ও পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডের গাছ ভেঙে গেছে। তবে রাজশাহী শহরে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। । 

বুধবার বিকেল ৫টা ৮ মিনিটে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি আঘাত হানে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর পবার বড়গাছি, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, চারঘাট, বাঘা, তানোর, গোদাগাড়ী ও বাগমারা উপজেলায় ব্যাপক শীলাবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঝড়ো হাওয়ায় আমের গুটি ঝরে যায়।  

পুঠিয়ার ভালুকগাছি গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার বিকেলে প্রচণ্ড গতিতে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। এসময় বড় বড় শীলা পড়তে থাকে। শীলার আঘাত গাছের আম ঝরে গেছে। সেসব আমে আঘাত লেগেছে ধীরে ধীরে সেসব আমও ঝরে যাবে। এছাড়া বিলের পাকা ধান ও পানের বরজের বেশ ক্ষতি হয়েছে।’ 

রাবির প্যারিস রোডে ভেঙে পড়া গাছ।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আমচাষী শফিকুল ইসলাম ছানা বলেন, বিকেলে প্রচণ্ড ঝড় এবং শীলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঝড়ে প্যারিস রোডের গাছ ও বড় ডাল ভেঙে গেছে। 

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছি, পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলাসহ বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক শীলা বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। তানোরে হালকা শীলাবৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক রাজীব খান বলেন, বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাজশাহী শহরে কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে বিভিন্ন উপজেলায় বিকেলে ৪১ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে।