জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিয়ের কথা বলে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ব্যাংক কর্মকর্তা এরশাদ আলীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।

মামলার পর গতকাল সোমবার রাতে শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এরশাদ আলী অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড জেলার পাঁচবিবি উপজেলার শাখায় কর্মকর্তা (ক্যাশিয়ার) হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার উৎকুরা গ্রামে। তিনি চাকরির সুবাদে জয়পুরহাট শহরের জানিয়ার বাগান মহল্লার একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ৩ বছর আগে এরশাদ আলীর সঙ্গে ফেসবুকে ওই শিক্ষিকার পরিচয় হয়। স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও এরশাদ আলী নিজেকে অবিবাহিত বলে পরিচয় দেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

৮ মাস ধরে ওই শিক্ষিকাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে আসছিল এরশাদ আলী। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকা বিয়ের কথা বললে এরশাদ আলী তালবাহনা শুরু করেন। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখেন এরশাদ আলীর গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী রয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।