নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মুক্তি রানী বর্মণ নামে এক ছাত্রীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয় সে। 

এলাকাবাসী জানায়, ছালিপুরা গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে মুক্তি রানী বর্মণ প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। পাশাপাশি বারহাট্টা নারী প্রগতি সংঘের ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য ছিল সে। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশি যুবক কাউসার মিয়া। প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় মুক্তি রানী বর্মণের পথ আটকায় কাউসার মিয়া ও তার কয়েক সহযোগী। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে মুক্তি রানীকে আঘাত করে কাউসার। পরে তাকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এলাকাবাসী।

অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে বিকেল ৪টার দিকে মারা যায় মুক্তি রানী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দিয়েছে।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।