৫ ক্যাটাগরিতে ফরিদপুরের গুণীজনদের গৌতম স্মৃতি সম্মাননা দেওয়া হবে। সাংবাদিক গৌতম স্মৃতি সংসদের সভায় চলতি বছর ৫ ক্যাটাগরিতে ফরিদপুরে এ পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হবে।

গতকাল সোমবার বিকেলে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কে আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সংগঠনটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভা থেকে সাংবাদিক গৌতম স্মৃতি সংসদের ২৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রস্তাব করা হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রফেসর শিপ্রা রায়কে সভাপতি এবং সাংবাদিক হাসানউজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে স্থানীয় বিশিষ্ট নাগরিক ও সক্রিয় সেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটি আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ফরিদপুরের ৫ গুণীজনকে গৌতম স্মৃতি পদ্মকে সম্মানিত করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

সাংবাদিকতা, সমাজসেবা, শিক্ষা, তৃণমূলের নারী উদ্যোক্তা বা সংগঠক এবং শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি- এ ৫ ক্যাটাগরিতে গুণীজনদের সম্মাননা দেওয়া হবে। কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান অথবা মরোনোত্তর কেনো ব্যক্তিও এ সম্মাননা পেতে পরেন। 

কমিটির সহ-সভাপতিরা হচ্ছেন সমাজকর্মী আওলাদ হোসেন বাবর, অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী ও এনজিও ব্যক্তিত্ব আজাহারুল ইসলাম। এ ছাড়া সংস্কৃতিকর্মী হারুনার রশিদ যুগ্ম-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।

সংগঠনের নির্বাহী সদস্যর দায়িত্বে রয়েছেন সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক ও বিশিষ্ট কলামিস্ট আবু সাঈদ খান, সমকালের প্রকাশক আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক প্রফেসর এম এ সামাদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর আলতাফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মানিক, লেখক ও সংগঠক খন্দকার মাহফুজুল আলম মিলন, ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজ ই কবির খোকন, কবি জাহাঙ্গির খান, সাংবাদিক কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও রাশেদুল হাসান কাজল, নারীনেত্রী মা আক্তার মুক্তা, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, বর্তমান সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য ও সাধারণ সম্পাদক কাজী সবুজ, নারী উদ্যোক্তা রওশনারা দীপ্তি এবং নারী উন্নয়ন কর্মী তাহিয়াতুল জান্নাত রেমি।

প্রসঙ্গত, দৈনিক সমকালের উদ্যোগে ২০১৩ সালে ফরিদপুরের ৬ গুণী ব্যক্তিকে গৌতম স্মৃতি সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন, মুক্তিযুদ্ধে নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল, সাংবাদিকতায় জগদীশ চন্দ্র ঘোষ তারাপদ স্যার, সংগীতে করুণাময় অধিকারী মাস্টার মশাই, লোক সংস্কৃতিতে বাউল আব্দুর রহমান, সাহিত্যে ছড়াকার এনায়েত হোসেন ও নারী আন্দোলনে অবদানের জন্য আরজু করিম।