চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবিরকে ধাক্কা মেরে আহত করার অভিযোগে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকা এএসআই সন্তু শীলকে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট-২) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সই করা এক আদেশে তাকে ৬ মে’র মধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ইউনিট ছাড়তে বলা হয়েছে।

এএসআই সন্তু শীল শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের দেহরক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নগর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি হওয়া ওই আদেশে আরও বলা হয়েছে, ৬ মে’র মধ্যে সিএমপি না ছাড়লে ৭ মে থেকে তিনি তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হয়েছেন মর্মে গণ্য হবেন।

জানতে চাইলে সিএমপির উপকমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ বলেন, ‘এএসআই সন্তু শীলকে সদর দপ্তরের প্রশাসনিক আদেশে খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। এটা শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ অবশ্য নয়। প্রশাসনিক কারণে করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে নগরের কোতোয়ালি থানার পাথরঘাটা এলাকায় যান শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাঁর প্রটোকল হিসেবে পাশে থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির। এ সময় পেছন থেকে বাঁ হাতের কনুই দিয়ে ওসিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এএসআই সন্তু শীল। সঙ্গে সঙ্গেই ওসি দাঁড়িয়ে গিয়ে উপমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় ওসির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই দেহরক্ষী। তখন উপমন্ত্রী ওসিকে মঞ্চে যেতে বলেন। উপমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পর ওসি জাহিদুল সেখানে গিয়ে তাঁকে বিষয়টি খুলে বলেন। উপমন্ত্রী এ সময় ওসিকে এ বিষয়ে সিএমপি কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিতে বলেন। পরে এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পাশাপাশি এএসআই সন্তু শীলের বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওসি জাহিদুল।