ভোলার চরফ্যাসনে বিয়ের আশ্বাসে এক তরুণীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে যাওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মো. রাসেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এর আগে দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা রাসেলকে আমিনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে সমঝোতার মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন তাঁরা। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে রাসেলকে পুলিশে সোপর্দে রাজি হন প্রভাবশালীরা।

এদিকে রাসেলকে পুলিশে সোপর্দের পর মঙ্গলবার রাতেই তার বিরুদ্ধে চরফ্যাসন থানায় মামলা করেছে ওই ভুক্তভোগী ওই তরুণী। আজ বুধবার পুলিশ অভিযুক্ত রাসেলকে আদালতে পাঠিয়েছে। রাসেল আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনির হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজমিস্ত্রি রাসেলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই তরুণীর প্রেম ছিল। গত সোমবার রাতে রাসেল ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। সে ওই রাতেই তরুণীকে তার বাড়ির কাছে আমিনাবাদ ইউনিয়নের কচুখালী স্কুলসংলগ্ন রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।

ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, তার অভিযোগ পেয়ে আমিনাবাদ ইউনিয়নের প্রভাবশালী কয়েকজন দুলারহাট থানা এলাকা থেকে ওই রাতেই রাসেলকে তুলে নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন।

আমিনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিঠু অভিযুক্ত রাসেলকে ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অসহায় মেয়েটির সুরাহার জন্য রাসেলের পরিবারকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তারা আসেনি।

চরফ্যাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।