চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তর করতে যাবতীয় কার্যক্রম ‘পেপারলেস’ করতে চায় কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বিভিন্ন বিভাগকে অটোমেশন করা হচ্ছে। তৈরি করা হচ্ছে ৫০টি সফটওয়্যার মডিউল। এটি বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিপূর্ণভাবে অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৬তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এসব তথ্য জানান। 

শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে তিনি জানান, ইউরোপের মতো ইউএসএ রুটেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সরাসরি জাহাজ চলাচল সেবা চালু করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠান খুঁজছেন তাঁরা। কেউ আবেদন করলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা বিবেচনা করা হবে। তিনি জানান, সক্ষমতা বাড়াতে চট্টগ্রাম বন্দরে গত এক দশকে ৫ লাখ ৮০ হাজার বর্গমিটার ইয়ার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন ধরনের ৩১০টি ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে।

এম শাহজাহান বলেন, পোর্ট লিমিট ৭ নটিক্যাল মাইল থেকে ৬২ নটিক্যাল মাইলে উন্নীত করা হয়েছে। রপ্তানি কনটেইনার স্ক্যান করতে দুটি আধুনিক স্ক্যানার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান। এগুলো ২০২৩ সালের জুন নাগাদ স্থাপন সম্ভব হবে। হামিদচরে লাইটারেজ জেটি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বন্দরের পাইলটদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে ২১০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১০ মিটার প্রস্থের জাহাজ ভিড়ানো যাবে। বিপজ্জনক, তেজস্ক্রিয়, রাসায়নিক পণ্য নিরাপদে আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে স্টেট অব আর্ট কেমিক্যাল শেড গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মতবিনিময় সভায় বন্দরের বোর্ড সদস্য, পরিচালক, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।