নাটোরের গুরুদাসপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ৯ জন নারীর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাটোর আমলি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলমান রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।

ইউএনও শ্রাবণী রায় জানান, বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগী সাত নারীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও ছিলেন না তিনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নূর মোহাম্মদ বলেন, নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘর নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে মামলা ও সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন  দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

শুনানি শেষে ভুক্তভোগী নারীরা অভিযোগ করেন,  নজরুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। ছয়জন ঘর পেলেও ইঞ্জিরা বেগম পাননি। ঘর দিতে টাকা লাগে না বলে জানতে পারেন তাঁরা। ভুক্তভোগীদের পক্ষে সাহারা বানু ও বিউটি বেগমের মা মমতাজ বেগম আদালতে মামলা করেন।

এর আগে জয়নব বেগম ও ময়না খাতুন নামে দুই নারীর কাছ থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে দুটি মামলা করেন তাঁরা। এ মামলায় গত ২ এপ্রিল জামিন চাইতে গেলে বিচারক আশরাফুন্নাহার তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান নজরুলকে। ১৭ দিন পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতি করার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু নারীদের দিয়ে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করাচ্ছেন। তবে শওকত রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নজরুল ক্ষমতার দাপটে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁকে নিয়ে যা বলেছেন তা মিথ্যা।