লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা দুই আসামির তথ্য অনুযায়ী একটি দোনলা ও একটি একনলা বন্দুকসহ ৫টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ।

তিনি জানান, মামলার ৫ আসামি রিমান্ডে রয়েছে। এর মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি মশিউর রহমান নিশান ৫ দিন এবং ১৪ নম্বর আসামি আজিজুল ইসলাম বাবলু ৩ দিনের রিমান্ডে রয়েছে। বাবলুকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলের অদূরে মাঠের পাশে কলাবাগান থেকে কলাপাতায় মোড়ানো একটি দোনলা দেশীয় বন্দুক ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন তার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘শুক্রবার আসামি নিশান ও রুবেল দেওয়ানকে নিয়ে অভিযানে বের হয় পুলিশ। নিশানের বাড়ির ঘরের পাশে একটি লাকড়ি ঘর থেকে একটি একনলা বন্দুক ও ১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র সরবরাহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি আমরা। পাঁচটি দলে ৩৫-৪০ জন অস্ত্রধারী এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। আমরা অনেক তথ্য পেয়েছি। মামলার তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। জোড়া খুনের এ মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদীকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৫ এপ্রিল রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দার বাজার এলাকায় যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা নোমানকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান।