পাওনা ২ লাখ টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বন্ধু কবিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টুর। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে চার বন্ধু মিলে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ৮ মাস পর প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়।

রোববার দুপুরে র‍্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার (সহকারী পুলিশ সুপার) নজরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– বগুড়া সদরের ভাটকান্দি এলাকার মোমিনুর হোসেন, কবির হোসেন, রবিউল  ইসলাম ও বেজোড়া হিন্দুপাড়ার মো. রানা।

র‍্যাবের স্কোয়াড কমান্ডার নজরুল ইসলাম বলেন, বগুড়া সদরের ভাটকান্দি এলাকার বাসিন্দা ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু গ্রেপ্তার কবিরের কাছে ২ লাখ টাকা পেতেন। পাওনা টাকা চওয়ায় তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই নিয়ে ঝন্টু তাঁর বন্ধু কবিরকে মারধর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কবির তিন বন্ধুকে নিয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঝন্টুকে হোটেলে নাশতা খাওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায় মোমিনুর। এর পর ঝন্টুকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা আত্মগোপনে যায়। পরে তারা সাভারের নবীনগরে পরিচয় গোপন রেখে টাইলসের কাজ করছিল।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আফজাল হোসেন প্রামাণিক বাদী হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর সদর থানায় মামলা করেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই ঘাতকদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করে র‍্যাব। এতে ঢাকা র‍্যাব-৩ ও র‍্যাব-৪ সহযোগিতা করে আসছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে সোপর্দ করার জন্য বগুড়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।