সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দিনগুলোতে যে উন্নয়ন হয়েছে তার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ নেতারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর পৌর এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।

স্থানীয় টেপাখোলা লেকপাড় এলাকায় নুরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু এই সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য বিপুল ঘোষ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, মাইনুদ্দিন আহম্মেদ মানু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি মাসুদ, শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, সদস্য মাহাতাব আলী মেথু, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নুসরাত তানিয়া, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খান মোহাম্মদ শাহ সুলতান রাহাত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশীদ চৌধুরী রিয়ান ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন ফয়সাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল আমীন বাপ্পি।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা খলিফা কামাল উদ্দিন, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন, পরিচালক মো. বেলাল হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন মোল্লা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইসাল আহমেদ রবিনসহ শহর আওয়ামী লীগ ও পৌর ১৮, ১৯, ২২, ২৩, ২৪নং ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ। পরে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় অধিবেশনে এই পাঁচ ওয়ার্ডে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করেন সম্মেলনের কাউন্সিলররা।

প্রধান অতিথি বিপুল ঘোষ তার বক্তব্যে বলেন, 'আমরা ফরিদপুরে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত আওয়ামী লীগ চাই। যারা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করছেন, আমি চাই শিগগিরই তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে।' তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আমরা এক মঞ্চে একসাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার কথা বলবো, এই উন্নয়নের কথা বলবো।'

এ. কে. আজাদ বলেন, 'আমরা রাজনীতি করতে এসেছি, পদ-পদবির জন্য আসিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা আমাদেরকে পৌঁছে দিতে হবে জনগণের দোরগোড়ায়। সবাই মিলে আবারও শেখ হাসিনার সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।'

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুকে নিজের সন্তানের মত মমতা দিয়ে তৈরি করেছেন। এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা কম খরচে লেখাপড়ার জন্য এই সেতু দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে অনায়াসে যেতে পারছে। আর উচ্চ শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত হওয়ায় তারা ভবিষ্যতে নিজেদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু সম্মেলন সফল করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এই সম্মেলন বানচাল করার জন্য আমাদের দলেরই একটি অংশ সক্রিয় ছিল। কিন্তু তাদের অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসের নাম উল্লেখ করে বলেন, 'তিনি টেলিফোনে এই সম্মেলন না করার জন্য আমাকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, সম্মেলন করলে ঝামেলা হবে। তিনি আমাকে টাকার প্রলোভনও দেখিয়েছেন। আমি এই সভা থেকে এর প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানাই।'