ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশনে রাত ১২টা থেকে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষণ ও তীব্র ঝড়ো হাওয়া। পাশাপাশি তীব্র বাতাসের তোড়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবিত হতে শুরু করেছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢাল চরের তারুয়া ও চর নিজাম, চরপাতিলা, মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদার চরের বিস্তীর্ণ নিচু নিন্মাঞ্চল। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

মোকার প্রভাব মোকাবিলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। শুক্রবার দুপুর থেকে উপকূলবাসীকে দেওয়া হয়েছে সতর্ক বার্তা। উঠানো হয়েছে প্রতিটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় সতর্কবাণী পতাকা। সাধারণ মানুষের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাম আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুর থেকে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আড়াই হাজার স্বেচ্ছাসেবক। বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলোর বাসিন্দাদের মূল ভূখণ্ডে আনতে পর্যাপ্ত নৌযান রাখা হয়েছে। 

ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার জানান, রাত ১২টায় হঠাৎ তীব্র বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। ফলে নদী-সাগর উত্তাল হয়ে উঠায় এখন দ্বীপ ছেড়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। আতংকিত হয়ে পড়েছেন এসব দ্বীপের ১৭ হাজার মানুষ। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এসব ইউনিয়ন ও সংলগ্ন চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ ‘মোকা’য় অসহায় হয়ে পড়েছেন। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আল নোমান জানান, সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার জন্য স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিম্নাঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে।