চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে উপকূলে ৫০টি স্ক্র্যাপ জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঘূর্ণিছড় ‘মোকা’র ক্ষতিকর প্রভাব থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজেরকে রক্ষ করতে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ) নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইয়ার্ড মালিকরা এ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এর আগে, ১৯৯১ সালে ২৯ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে ও জলোচ্ছ্বাসে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড থেকে একাধিক জাহাজ ভেসে যায়। ইয়ার্ড মালিকদের অবহেলায় এমন ঘটা ঘটেছিল। 

বিএসবিআরএ’র সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডে মোট ৩৫টি জাহাজ ভাঙা কারখানায় ৫০টি স্ক্র্যাপ জাহাজ রয়েছে। কারখানায় কিছু জাহাজ অর্ধেকের বেশি ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। বাকি জাহাজ ভাঙার জন্য উপকূলে রাখা হয়েছে। এছাড়া বহিনোঙরে আরও ছয়টি জাহাজ রয়েছে।

বিএসবিআরএ’র নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমদানিকৃত বহিনোঙরে থাকা এবং জাহাজ-ভাঙা কারখানায় সৈকতায়ন করা জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ইয়ার্ডের অবকাঠামো রক্ষায় জাহাজ মালিকদের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিএসবিআরএ সিনিয়র সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাহাজের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিএসবিআরএ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি জাহাজ-ভাঙা কারখানায় চিঠি পাঠিয়েছেন, যেন কারখানা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজের নিরাপত্তা জোরদার করে। এ জন্য প্রতিটি জাহাজ শিকল দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, বহিরনোঙরে থাকা জাহাজ আরও গভীর সমুদ্রে নেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বহিনোঙরে জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। আর কারখানার ভেতরে থাকা জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিক নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, জাহাজা ভাঙা কারখানায় থাকা স্ক্র্যাপ জাহাজের নিরাপত্তা জোরদার করতে কারখানা মালিকরা ব্যবস্থা নিয়েছেন।