- সারাদেশ
- রাস্তাগুলো যেন নদী
মিয়ানমারে মোকার তাণ্ডব
রাস্তাগুলো যেন নদী
প্রাণহানির খবর মিলেছে, বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ

ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে প্রবল গতিতে বাতাস বয়ে যায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় এলাকায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। রোববার রাখাইনের কিউকতাউয়ের চিত্র - এএফপি
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে মিয়ানমারের বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত অন্তত তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মানুষ মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রবল ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে পানির প্রবাহ, এরই মধ্যে সিত্তে হাঁটুপানি জমে গেছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও রয়টার্সের।
এক দশকের বেশি সময়ের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ঝড় সমুদ্রতীরবর্তী শহরের মধ্য আছড়ে পড়ায় সিত্তের রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়েছে। সমাজকর্মী ওয়াই হুন অং বলেন, ‘ধীরে ধীরে পানি বাড়ছে। একটি স্কুলের সামনের ড্রেন পর্যন্ত পানি পৌঁছেছে। শিগগিরই আমরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র সরিয়ে নেব।’
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, রোববার বিকেলের দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিত্তে শহরের কাছে ঘণ্টায় ২০৯ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় মোকার অগ্রভাগ। দেশটির সেনাবাহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরের একটি ভবন ধসে পড়েছে। সেখানের বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দারা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের দেওয়া বিভিন্ন নম্বরে।
মিয়ানমারে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দুপুর ১২টার পরই বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করে। এর প্রভাবে বিভিন্ন জায়গায় বসতবাড়ি, বিশেষ করে টিনের বাড়িঘর এবং অস্থায়ী আবাস ভেঙে পড়তে শুরু করে। অনেক বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে ঝড়ে। সিত্তে এলাকায় মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই দেশটিতে, ওয়াই-ফাই সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এখন শুধু মোবাইল ডাটাই কাজ করছে মিয়ানমারে। এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আশঙ্কায় রাখাইনের লাখো মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে। সিত্তে কিয়াকপিউ, মংডু, রাথেডাং, মাইবোন, পাউকতাও, মুনাং শহরের জন্য সর্বোচ্চ স্তরের দুর্যোগ সতর্কতা জারি করেছে মিয়ানমারের জান্তা। দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন থেকে প্রায় ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের কোকো দ্বীপপুঞ্জের বেশ কিছু ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্তব্য করুন