- সারাদেশ
- ফের গ্যাসের দেখা মিলল চট্টগ্রামের বাসাবাড়িতে
ফের গ্যাসের দেখা মিলল চট্টগ্রামের বাসাবাড়িতে

ফাইল ছবি
এদিকে সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় গ্যাসনির্ভর যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আজ রাত ১১টার পর থেকে ফিলিং স্টেশনগুলোতেও গ্যাস সরবরাহের কথা। শিল্পকারখানায় আগামীকাল মঙ্গলবার সরবরাহ শুরু হতে পারে।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ দিয়ে থাকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। আজ সকাল ৮টার দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয় বলে জানিয়েছে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ। তবে তা বাসাবাড়ির চুলায় পর্যন্ত পৌঁছতে দুপুর পর্যন্ত লেগে যায়। তবে রাত থেকে বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার কথা জানান কেজিডিসিএলের কর্মকর্তারা।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিপণন-দক্ষিণ) আমিনুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে এলএনজি সরবরাহ না পাওয়ায় গ্যাস সংকট তৈরি হয়েছিল। তবে মহেশখালী ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ফের সরবরাহ শুরু হয়েছে।
নগরীর বাদুরতলা আরাকাত সোসাইটির বাসিন্দা জাকির হোসেন সমকালকে বলেন, প্রায় তিন দিন ভোগানোর পর সোমবার দুপুরের দিকে গ্যাসের দেখা মিলেছে। চাপ একেবারে কম হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে। এর আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে সিলিন্ডার গ্যাস কিনে বাসায় রান্না করা হয়েছে। যাঁরা বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেননি, তাঁরা বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন। গ্যাস সংকটে হোটেলেও পর্যাপ্ত খাবার মেলেনি।
একই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ জেসমিন আকতার বলেন, গ্যাস না থাকায় কখনও দোকান থেকে শুকনা খাবার কিনে, আবার কখনও হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে গত শুক্রবার রাত ১১টায় আগাম সতর্কতা হিসেবে এলএনজি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
চট্টগ্রামে কেজিডিসিএলের মোট গ্রাহক-সংযোগ ৬ লাখের বেশি। এর মধ্যে গৃহস্থালি সংযোগই ৫ লাখ ৯৭ হাজার। বাকিগুলো শিল্প-বাণিজ্যসহ অন্য খাতে। এসব খাতে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া যায় ২৭০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
মন্তব্য করুন