এবার ভাসমান এক দোকানিকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বিতর্কিত কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।

বুধবার বিকেলে নগরীর আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ কলোনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানিকে মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

মারধরের শিকার ওই যুবকের নাম অপু প্রধান। তার বাড়ি পঞ্চগড় হলেও তিনি আকবরশাহ এলাকার ভাসমান দোকানে ক্রোকারিজ পণ্য বিক্রি করতেন।

কাউন্সিলরের দাবি, অপু প্রকাশ্য জুয়া বসিয়েছেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, লটারির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছিলেন ওই যুবক।

কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি লক্ষ্য করে জহুরুলের উপস্থিতিতে ঢিল ছোড়েন তার অনুসারীরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছাতার নিচে ভাসমান ওই যুবক দোকান করছিলেন। বিকেলে কাউন্সিলর জসিম সেখানে গিয়ে ওই যুবককে টেনেহিঁচড়ে ছাতার নিচ থেকে বের করে আনেন। তার কলার ধরে থাপ্পড় দিচ্ছেন। আর বলছেন, ‘তোর বাড়ি কোথায় বল?’ তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে অপুর বাম পায়ের হাঁটুতে সজোরে লাথি মারতেও দেখা যায়। বলতে থাকেন, ‘তোকে এখানে জুয়া বসানোর পারমিশন কে দিয়েছে?’। তখন পুলিশের গাড়ি পৌঁছালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে জহুরুল আলম জসিম বলেন, ‘ছেলেটি প্রকাশ্য জুয়া বসিয়েছে। তাকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। মারধর করিনি।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) শেখ সাব্বির হোসেন বলেন, ওই যুবক রাস্তার পাশে ফেরি করে জিনিস বিক্রি করেন। তিনি বলেন, আমরা তাকে হেফাজতে নিয়েছি। কাউন্সিলরের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।