সমকালে গত বুধবার ‘ফরিদপুরে স্টেডিয়ামের নামে বালুর কারবার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা পদ্মাসহ বিভিন্ন নদনদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে সমন্বিত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) লিটন আলী বলেন, ‘জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে সমন্বিত উদ্যোগ নেবে। আগামী রোববার জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, তাঁরা সরেজমিন পদ্মা নদী থেকে প্রতি রাতে শত শত ট্রাক বালু খনন যন্ত্রের সাহায্যে উত্তোলনের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বালুর কারবারে জড়িতদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে শিগগির তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত বুধবার সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে ফরিদপুর জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নদীর বালু উত্তোলনের অনুমতি দেওয়ার এখতিয়ার তাঁদের নেই। শুধু মন্ত্রণালয় বালুমহাল ঘোষণা করলেই সেখান থেকে বালু উত্তোলন বৈধ। ফরিদপুরে স্টেডিয়ামের নামে হোক আর যেভাবেই হোক বালু লুটপাট সহ্য করা হবে না।

এদিকে, গত শুক্রবার নৌ পুলিশের ফরিদপুর সদরের সদস্যরা ডিক্রিরচর ইউনিয়নের গোলডাঙ্গী সেতুসংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের সময় একটি ড্রেজারসহ তিনজনকে আটক করে। নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী জানান, আটক ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শহিদ বিশ্বাস, পিরোজপুরের নজরুল ইসলাম ও বরিশালের মো. মোরসালিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের সালথার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া এলাকায় পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ড্রেজার মালিক আলম শেখ এবং জমির মালিক সাগর মোল্যাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালাহউদ্দিন আইয়ুবী।