সৎ ছেলেকে হত্যার অভিযোগে ঢাকার গুলশান থেকে ফরিদ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১। শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরে র‍্যাব সিপিসি-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ফরিদের সৎ ছেলে ইয়ামিনের (৮) মরদেহ মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মধুখালী বালুর মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ইয়ামিনের মা আমেনা বেগম এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় ১৫ মে তিনি রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।

মামলার অভিযোগপত্র ও আসামি ফরিদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র‍্যাব-১ কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী বলেন, মঙ্গলবার সকালে ইয়ামিনের লাশ পাওয়া গেলে তা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব সদস্যরাও রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামেন। গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান থানার নদ্দা বাজার এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি ফরিদকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছেলে ইয়ামিনকে সহযোগীদের নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে ফরিদ। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন সারপুকুর গ্রামে।

র‍্যাব জানায়, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর প্রথম স্বামী ফিরোজ আলম মাসুমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় আমেনার। এ দম্পতির দুই ছেলে। ফরিদকে বিয়ে করে ছোট ছেলে ইয়ামিনকে নিয়ে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় বাস করতেন আমেনা। দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকায় এক পর্যায়ে ফরিদকেও তালাক দেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমেনাকে শায়েস্তা করার ফন্দি করে ফরিদ। জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে সে জানায়, বেড়ানোর নাম করে ইয়ামিনকে বিদ্যালয় থেকে মধুখালী নিয়ে আসে। পরে সুযোগ বুঝে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

গ্রেপ্তার ফরিদকে শনিবার রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আদালতে পাঠিয়েছে।