চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষীর জেরা অব্যাহত আছে। প্রথম সাক্ষী নিহতের বাবা ও মামলার বাদী মোশাররফ হোসেন সোমবারের জেরায় ২০১৭ এবং ১৮ সালে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ‘পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আকতার ও মিতুর দুই পরিবারকে একটি পক্ষ বড় ষড়যন্ত্র করে ধ্বংস করতে চাইছে’ এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন।

তখন আর কী কী বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা স্মরণে নেই বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে এখন আসামি বাবুল ও তার শ্বশুরকে মুখোমুখি করে দিয়েছে একটি পক্ষ- আসামিপক্ষের আইনজীবীর এ দাবি সত্য নয় বলে আদালতে জানিয়েছেন মোশাররফ।

অন্য নারীকে বিয়ে করার জন্য পথ পরিষ্কারের অংশ হিসেবে মিতুকে খুন করে বাবুলু  ২০১৭ সালে এমন দাবি করেছিলেন কিনা প্রশ্ন করলে সাক্ষী একবার হ্যাঁ বললেও পরে স্মরণ নেই বলে দাবি করেন। চট্টগ্রাম তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এ জেরা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেছেন আদালত। বাদীকে জেরা অব্যাহত রেখেছে আসামিপক্ষ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাদী মোশাররফ হোসেন টিভি ও পত্রিকায় প্রথমে সাক্ষাৎকার দিয়ে দাবি করেছিলেন বাবুল নির্দোষ। তাকে বড় ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। বাবুল ও মিতুর পরিবারকে ধ্বংস করতে চায় একটি পক্ষ। ভিডিও ফুটেজ ও পত্রিকা আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তিনি এসব সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলে স্বীকারও করে নিয়েছেন। তবে এখন তিনি দাবি করছেন, মিতু খুনে বাবুল জড়িত। 

মিতু হত্যা মামলায় চলতি বছরের ১৩ মার্চ বাবুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বাবুল ছাড়া অন্য আসামিরা হলোু কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন, এহতেশামুল জামিনে এবং কামরুল ও খাইরুল পলাতক। জেরার সময় পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।