- সারাদেশ
- পুলিশের কড়াকড়িতে রাজশাহী শহরে পদযাত্রা করতে পারল না বিএনপি
পুলিশের কড়াকড়িতে রাজশাহী শহরে পদযাত্রা করতে পারল না বিএনপি

রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ। ছবি- শরিফুল ইসলাম তোতা
পুলিশের কড়াকড়ি ও অনুমতি না পেয়ে রাজশাহী মহানগরীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বিএনপি। তবে জেলার ছয়টি থানায় তারা পদযাত্রা করছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু সমকালকে বলেন, ‘পুলিশ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অজুহাত দিয়ে বিএনপিকে পদযাত্রার অনুমতি দেয়নি। তারা কড়াকড়ি আরোপ করেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সিটিতে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না। তবে রাজশাহীর ছয়টি থানায় ইতোমধ্যে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।’
পুলিশি কড়াকড়ির বিষয়টি বাড়াবাড়ি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে। তারা এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করছে। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছে। রাজশাহী শান্তির শহর। এখানে গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে অযথা মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিএনপির পদযাত্রাকে ঘিরে রাজশাহী শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সকাল থেকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহরের কোথাও মানুষজনকে জড়ো হতে দেখলেই তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নগরীর সাহেব বাজার, রাণী বাজার ও সোনাদিঘীর মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টায় রাজশাহীর সাহেববাজারে বিএনপির পদযাত্রা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকেই সাহেববাজার এলাকায় পুলিশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। সাহেববাজারে কোনো ধরনের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিএনপির রাজশাহী মহানগর কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকার পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার বসাক। তিনি বলেন, জনগণ যেন সুন্দরভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করতে চাই। সরকারি মালামাল ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে চাই।
বিজয় কুমার বসাক বলেন, এখানে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে আমাদের কাছে এমন গোয়েন্দা তথ্য আছে। সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ যেন কোনো ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এতটা কঠোর কিনা জানতে চাইলে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। চাঁদ আবেগের বসে ওই বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশও করেছি। আমাদের আন্দোলন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে, কেবলমাত্র ব্যক্তি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়। চাঁদের ওই বক্তব্য আমিও ব্যক্তিগতভাবে সমর্থন করিনি, সেজন্য মুরুব্বি হিসেবে তার পক্ষে দুঃখ প্রকাশ করেছি। পুলিশ সিটি নির্বাচনের কথা বলেছে, আমরা মেনে নিয়েছি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশাকে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মন্তব্য করুন