- সারাদেশ
- হাসপাতালে ভর্তি থেকেও পুলিশের মামলায় আসামি, অভিযোগ যুবদল নেতার
হাসপাতালে ভর্তি থেকেও পুলিশের মামলায় আসামি, অভিযোগ যুবদল নেতার

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন যুবদল নেতা সোহেল রানা। ছবি-সমকাল
হাসপাতালে ভর্তি থেকেও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আসামি হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার যুবদল নেতা সোহেল রানা।
তিনি বলেন, গত ১৮ মে অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই এবং ১৯ মে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলাম। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ১৯ মে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আমাকে আসামি করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা নগরের কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে এই কথা বলেন শফিকুল আলম মনা।
তিনি বলেন, এর আগে ৩১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফসার কারাগারে থাকা অবস্থায় পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামি হয়েছিলেন। সাজানো মামলা দিয়ে সরকার বিএনপির আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে চায়।
মনা আরও বলেন, ১৯ মে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি সমাবেশ শুরু করলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা, গুলি ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়। অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর যে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেছি, শিগগিরই এ বিষয়ে আদালতে আমরা মামলা দায়ের করবো।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি বানচাল করতে পুলিশ একের পর এক মামলা দিচ্ছে। প্রতিদিন নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। হামলা-মামলা, ভয়ভীতি দেখিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, বিএনপি নেতা মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম নান্নু, বদরুল আনাম, সাইফুর রহমান মিন্টু, এনামুল হক সজল, আবুল কালাম জিয়া প্রমুখ।
গত ১৯ মে রাতে খুলনা সদর থানার এস আই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ওই থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পীসহ ৪৯ নেতার নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
মন্তব্য করুন