গাজীপুর শহরের রথখোলা সড়ক। পরনে পাজামা-পাঞ্জাবি, মাথায় তারকা খচিত কালো টুপি। একা হেঁটে হেঁটে ভোট চাচ্ছিলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তার প্রতীক 'মাছ'। রাস্তায় হেঁটে জ্বালাময়ী ভাষণও দিচ্ছিলেন গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আতিক। কর্মী-সমর্থক ছাড়া তার এমন ভোট প্রার্থনার কৌশল অনেকের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দেয়। 

গাজীপুরের নলজানি এলাকার বাসিন্দা তিনি। এর আগেও তিনবার নির্বাচন করেছেন। তিনবারই তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে এমপি নির্বাচন করেছেন। এছাড়া কাউন্সিলর ও জেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী হন। বাজেয়াপ্তের হ্যাট্রিক করলেও এবার গাজীপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আতিক বললেন, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আমার নির্বাচনী ইশতেহারে চমক রয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে সকল শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করব। নাগরিক সেবা ও তথ্য প্রদানের জন্য ২৪ ঘণ্টা হটলাইন চালু করা হবে। দুর্নীতি বন্ধে ট্রেড লাইসেন্স, হোল্ডিং কর নেওয়া হবে অনলাইনে।

একা প্রচারণার কৌশল সম্পর্কে জানতে চাইলে আতিক বললে, আমি গণমানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি মনে করছি যেখানে ভোট চাইতে যাচ্ছি তারা তো আমারই লোক। তাদের কাছে যখন যাব কেন দলবল নিয়ে যেতে হবে। প্রথম যখন নির্বাচন করেছি সেটা ছিল যুদ্ধের মতো। তবে মানুষের সাড়া পাইনি। তবে এরপর ধীরে ধীরে আমাকে নিয়ে জনগণের মধ্যে একটা উদ্দীপনা দেখতে পেয়েছি। বারবার আমি বলেছি আমি ভূমিহীন থাকতে চাই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই। 

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করছে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রচুর টাকার মালিক। নির্বাচিত হওয়ার পরপরই তারা জনগণের সঙ্গে প্রজার মতো আচরণ করে। তারা নিজেদের রাজা ভাবতে ভালোবাসে। বারবার পরাজিত হলেও জনগণকে নিয়ে আমার বিপ্লব সফল করব। আমার জবাবদিহি থাকবে জনগণের কাছে। অবহেলিত জনগণ হবে আমার শক্তি। আমি একজন পথশিল্পী। আমি সমাজের সংস্কার চাই। মাথায় তারকা চিহ্নিত টুপি পরার উদ্দেশ্য হলো- আমি সত্যিকারের স্টার। আমি একজন দরিদ্র মানুষ। আমি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব।