রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন চার প্রার্থী। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে জানা গেছে, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৭০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।

বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে থাকছেন তুলনামূলক দুর্বল প্রার্থীরা। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী 

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।’ 

মেয়র পদে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রাজশাহী মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম স্বপন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত কাউন্সিলরের পদে ৪৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নির্বাচনী প্রচারে আওয়ামী লীগ মাঠে থাকলেও অনেকটাই নিশ্চুপ জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও জাকের পার্টির তিন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের কর্মীরা জনসংযোগ করলেও এই দলগুলোর জনসংযোগ চোখে পড়ছে না। তবে তাঁরা বলছেন, প্রতীক পাওয়ার পর পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামবেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, ‘নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ থাকবে এটাই কাম্য। বিএনপি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’ 

জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, ‘আমরা ছোট দল। সেজন্য আমাদের প্রচার চোখে কম পড়ছে। নেতাকর্মীরা ওয়ার্ডভিত্তিক কাজ করছেন। প্রতীক বরাদ্দ পেলে পুরোদমে মাঠে নামব।’ 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। আচরণবিধি মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’

জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার বলেন, ‘আচরণবিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা করা যাবে না। সেজন্য আমরা এখনও একটু চুপ রয়েছি। জাকের পার্টির কর্মীরা লোক ভাড়া করে টাকা দিয়ে মানুষ এনে প্রচারণা করে না। দলের নির্দেশেই পার্টির সদস্যরা মাঠে নেমে কাজ করেন। কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।’

সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এবং ১৪ দলের সমর্থনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। জনগণ আওয়ামী লীগকেই চায়।’

তপশিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন ইভিএমে রাসিক নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে বৃহস্পতিবার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৬ থেকে ২৮ মে এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৯ থেকে ৩১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ১ জুন। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।