
আজমত আর জায়েদার মধ্যেই হবে মূল লড়াই। নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানের শক্তি সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আর দলের সাংগঠনিক ভিত্তি। অন্যদিকে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের ভরসা ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ইমেজ আর ‘নীরব ভোট’। কাল বৃহস্পতিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা বেছে নেবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য নগরের মেয়র।
ভোটারদের মন জয় করতে টানা ১৪ দিনের জমজমাট প্রচার শেষ হয়েছে মঙ্গলবার মধ্যরাতে। শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা নানা কৌশলে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিএনপি নির্বাচনে নেই, তবু সিটির এই ভোটে উত্তাপ, উৎকণ্ঠা কাটছে না। প্রচারে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সাধারণ
ভোটারদের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
রয়েই গেছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। কাউন্সিলরদের সমর্থকদের মধ্যে দু-একটি স্থানে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তার, তল্লাশি ও অভিযানও চলছে। কোনো কোনো প্রার্থীর শঙ্কা, ভোটের আগে রাতে কালো টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনাবেচা হতে পারে। প্রচারের শেষ দিনে এক কাউন্সিলর প্রার্থীর ‘ভীতিকর’ বক্তব্যের জের ধরে তাঁকে ইসিতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মেয়র ও দুই ধরনের কাউন্সিলর প্রার্থী মিলে এই ভোটে ৩৩২ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। মেয়র পদে আট প্রার্থী লড়ছেন। তাঁরা হলেন– আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, জাকের পার্টির মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, গণফ্রন্টের মো. আতিকুল ইসলাম এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন, সরকার শাহনূর ইসলাম ও মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরী।
দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি প্রতিষ্ঠার পর এবার তৃতীয়বারের মতো ভোট হতে যাচ্ছে। এর আগে মেয়র পদে একবার বিএনপি ও একবার আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। এবার মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী না থাকলেও কাউন্সিলর পদে ২৯ নেতা রয়েছেন। তাঁদের সবাইকে বহিষ্কার করেছে দলটি। তবে মেয়র প্রার্থীর মধ্যে টঙ্গীর বাসিন্দা সরকার শাহনূর ইসলাম রনি বিএনপি পরিবারের সদস্য। তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুব ও শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাই বিএনপির ‘ছায়া’ প্রার্থী হিসেবে কেউ কেউ রনিকে বিবেচনা করছেন।
এই নির্বাচনের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে অনেক অভিযোগ থাকলেও ভোটের সার্বিক পরিবেশে কমিশন এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট রয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যাক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃস্টির চেষ্টা করা হলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামও জানিয়েছেন, ভোটের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। মঙ্গলবার রাত থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোটরসাইকেল। তবে আবহাওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন তিনি। কারণ ভোটের দিন বৃষ্টি হলে ভোটার উপস্থিতি কমে যেতে পারে।
১৪ দিনের প্রচার শেষ
গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলস্টেশন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই ট্রেন আসছে, যাচ্ছে। আর যাত্রীরা নামার পরপরই মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকরা তাঁদের ঘিরে ধরছেন। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। মিছিল, শোভাযাত্রা ও মাইকিংয়ে পুরোপুরি ভোটের আবহ শিল্পনগরী গাজীপুরে।
১৪ দিনের প্রচারণার শেষ দিন ছিল গতকাল। তবে উৎসবের পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে চাপা উৎকণ্ঠাও দেখা গেছে। শেষ সময় বেশ কয়েকটি এলাকায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আটক-গ্রেপ্তার নিয়েও অনেকের মধ্যে ভীতি রয়েছে। হামলার ভয়ে গতকাল পুলিশি পাহারায় এক কাউন্সিলর প্রার্থী প্রচারণা চালিয়েছেন।
এদিকে গতকাল স্বতন্ত্র প্রার্থী রনি সরকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, নৌকার মিছিল নিয়ে টঙ্গীর কলাবাগান এলাকায় তাঁকে অবরুদ্ধ করা হয়। বাধা দেওয়া হয় তাঁর কর্মী-সমর্থকদের। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
এই নির্বাচনে ৫৭ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ২৪৬ জন। নারী কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ৭৯ জন। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে। এরই মধ্যে ইভিএমের সরঞ্জাম গাজীপুরে এসে পৌঁছেছে। আজ বুধবার সকাল থেকে তা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
প্রচারণার শেষ দিন গতকাল ব্যস্ত সময় কাটান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কাছে ভোট ও দোয়া চেয়েছেন তিনি। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। আর সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন গতকাল তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। আলাদা ইশতেহার ঘোষণা করেন রনি সরকারও।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও গোায়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের ডিসি মো. ইব্রাহিম খান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। চেকপোস্ট, ভ্রাম্যমাণ টিম ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ ও মামলা ছাড়া কাউকে আটকের তথ্য আমার কাছে নেই।
প্রচারণার শেষ দিন গতকাল বিকেলে পুলিশ পাহারায় গণসংযোগ করেন ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম খান বিকি। তাঁর অভিযোগ– প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পুবাইল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান শিরিষের কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে প্রচরণায় বাধা দেন। এক পর্যায়ে তাঁকে অবরোধ করে রাখেন। পুবাইল থানা বিএনপির সদস্য সচিব (বহিষ্কৃত) নজরুল ইসলাম খান বিকি বলেন, শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।
পুবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিকির সমর্থকদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হয়েছে– এমন অভিযোগে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে মারামারি ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান টিটু ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আবুল হাশেমের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে টিটু সমকালের কাছে দাবি করেন, হাশেমের মিছিল থেকে তাঁর কর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে। টিটু বললেন, যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাঁরা রাতে ভোট কেনার চেষ্টা করবেন। আমরা এসবের মধ্যে নেই। টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে দেখছি।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল বলেন, পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপি তো নির্বাচন বর্জন করেছে। জাহাঙ্গীর তাঁর মাকে নিয়ে মাঠে রয়েছেন। গাজীপুরে কালো টাকা থাকলে জাহাঙ্গীরের কাছে বেশি আছে। যদি ভোটের পরিবেশ নিয়ে জাহাঙ্গীরের অভিযোগ করা হাস্যকর। একই ধরনের অভিযোগ তাঁর নির্বাচনের সময় বিএনপি করেছিল। এখন বিএনপির ভাষ্য তাঁর মুখ থেকে বের হচ্ছে। তবে জাহাঙ্গীর আলমের দাবি, আমার মা যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে হামলা করা হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের কারও বাড়িতে থাকার অবস্থা নেই। প্রশাসনের লোক দিয়ে তাঁদের বের করে দিচ্ছে। এটা কোনো ভোটের পরিবেশ হতে পারে না।
ভোটের হিসাব-নিকাশ
গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, আজমত উল্লার সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নৌকার ব্যাজ পরে আজমতের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন, এমন গুঞ্জন রয়েছে। তবে অনেকের ভাষ্য, দলীয় ভোটব্যাংক টানার মতো অবস্থা এখন জাহাঙ্গীরের মা জায়েদার নেই। তাঁরা বলছেন, দলীয় নেতাকর্মীকে এক ছাতার নিচে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারলে আজমতের পক্ষে জয়ী হওয়া সহজ হবে। বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের ভালো ভোট রয়েছে। বিএনপি ভোট বর্জন করলেও কাউন্সিলর পদে তাদের সদ্য বহিষ্কৃত অনেক প্রার্থী থাকায় দলটির সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। অনেকে এ-ও বলছেন, ভোটারদের একটি বড় অংশ দলনিরপেক্ষ। জয়ের হিসাব মেলাতে নিরপেক্ষ ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। আজমত তাঁর প্রচারণায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত জাহাঙ্গীরের অতীত দুর্নীতি আর দলের প্রতি তাঁর প্রতিশ্রুতির অভাবকে বরাবরই প্রচারণায় গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। কারও কারও ভাষ্য, জায়েদার ভরসা ‘নীরব ভোট’। আর আজমতের ‘ট্রাম্পকার্ড’ হতে পারে নৌকার খাঁটি সমর্থকদের পাশাপাশি টঙ্গী ও দলনিরপেক্ষ ভোট।
কাউন্সিলর প্রার্থীকে ইসিতে তলব
‘নৌকার ভোটার ছাড়া অন্য কাউকে ভোটকেন্দ্রে আসতে দিবে না’–সাধারণ ভোটারদের জন্য এমন ‘ভীতিকর ও ত্রাস সৃষ্টিকারী’ বক্তব্য দেওয়ায় ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আজিজুর রহমানকে ঢাকায় তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ বুধবার দুপুর ৩টায় নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক আশাদুল হক এ তথ্য জানান।
জাহাঙ্গীরকে ফের ডেকেছে দুদক
প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও তলব করে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবারের তলবি নোটিশে তাঁকে আগামী ৬ ও ৭ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। জানা গেছে, জাহাঙ্গীরের বক্তব্য নেওয়ার জন্য দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি এক মাসের সময় চেয়েছিলেন। সেই আবেদন বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে গতকাল চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ধরপাকড়ের অভিযোগ বিএনপির
দলীয় নেতাকর্মীকে ধরপাকড় করা হচ্ছে– এমন অভিযোগ করেছে স্থানীয় বিএনপির নেতারা। গাজীপুর মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিব উদ্দিন সরকার পাপ্পু বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটের অধিকার আদায়ের চলমান আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করতেই নির্বাচনের অজুহাতে আমাদের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
বিএনপি দাবি করেছে, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রবিউল আলম রবি, ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ, কোনাবাড়ি থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বিশৃঙ্খলা করলে কেউই রেহাই পাবে না : ইসি আলমগীর
এদিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল ঢাকায় নির্বাচন ভবনে বলেছেন, এই সিটির ৪৮০ কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টিকে গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে চিহ্নিত করেছে ইসি। এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। মো. আলমগীর বলেন, ‘কোনো থ্রেট না থাকলেও যেহেতু শিল্প এলাকা, তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
মন্তব্য করুন