- সারাদেশ
- সড়কে সাবেক ইউপি সদস্যের বেড়া, দুর্ভোগে ৫০ পরিবার
রামগঞ্জ
সড়কে সাবেক ইউপি সদস্যের বেড়া, দুর্ভোগে ৫০ পরিবার

সড়কের মাঝখানে দেওয়া বাঁশের বেড়া। ছবি: সমকাল
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সড়কে বেড়া দিয়ে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে লকিয়ত উল্লাহ নামের সাবেক এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব করপাড়া-শ্যামপুর সড়কের নাপিত বাড়ির সামনে এ বেড়া দেওয়া হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় গত ২৭ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মধ্যে বাঁশের বেড়া দেওয়া, সড়কের মাঝামাঝি স্থানে বেড়া দিয়ে চারাগাছ লাগানো। এ ছাড়া সড়কে সিমেন্ট দিয়ে বানানো অনেক খুঁটি দেখা গেছে।
এ সময় এলাকাবাসী জানান, শত বছরেরও বেশি সময় ধরে পূর্ব করপাড়া এলাকার লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। এ এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের কয়েকশ সদস্যের একমাত্র চলাচলের সড়ক এটি। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ ও হাটবাজারে যেতে হলে এ সড়কটির বিকল্প নেই। তাই জনগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সড়কটির ইটের সলিংকরণের কাজ শুরু করেছে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। কিন্তু স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য লকিয়ত উল্লাহ চাঁদা দাবি করে রাতের আঁধারে সড়কের মুখে বেড়া দেন। একই সঙ্গে সড়কের এক পাশে বেড়া দিয়ে চারাগাছ লাগিয়ে মানুষের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বাশার জানান, সড়কে উন্নয়ন কর্মসূচি চলাকালে সাবেক ইউপি সদস্য লকিয়ত উল্লাহ ও তাঁর ভাই তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় সড়কে বেড়া দিয়ে এলাকাবাসীর চলাচলে তাঁরা বাধা সৃষ্টি করেছেন।
অভিযুক্ত লকিয়ত উল্লাহ চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনুরোধ জানালে তাঁরা সড়ক থেকে বেড়া তুলে নেবেন।
এ ব্যাপারে করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুর ইসলাম বলেন, সড়কে বেড়া দিয়ে এবং চারাগাছ লাগিয়ে মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অধিকার কারও নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অভিযুক্তদের ডাকা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. শারমিন ইসলাম বলেন, সড়কে বেড়া দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। বেড়া তুলে দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন