- সারাদেশ
- মুক্তিপণ আদায়ে শিশু সোহানকে গুম করে গৃহশিক্ষক
মুক্তিপণ আদায়ে শিশু সোহানকে গুম করে গৃহশিক্ষক

গ্রেপ্তার আবদুল আহাদ - সমকাল
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আদিল মোহাম্মদ সোহান নামে এক শিশু হত্যা মামলায় এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে সোহানেরই গৃহশিক্ষক।
গ্রেপ্তার আবদুল আহাদ এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে রুদ্রগাঁও গ্রামের শরীফ তালুকদারের ছেলে। মঙ্গলবার তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই এই হত্যাকাণ্ড।
বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মান্নান প্রমুখ।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ মে ফরিদগঞ্জে বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় সোহান (৮)। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শিশুটির বাবা আনোয়ার হোসেন। পরে ১৯ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাদীর চাচি রেনু বেগম বাড়ির পাশে কাঁচা গাব পাড়তে গেলে দুর্গন্ধ ও মাছির আনাগোনা লক্ষ্য করেন। বিষয়টি সবাইকে জানান তিনি। পরে ঘটনাস্থলে এসে মাটির নিচে চাপা দেওয়া শিশুর হাত দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে শিশু সোহানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। জড়িত সন্দেহে সোহানের গৃহশিক্ষক আবদুল আহাদকে (১৭ ) আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
পুলিশ জানায়, গৃহশিক্ষক আবদুল আহাদের পরিবার অসচ্ছল। শিশু সোহানের পরিবারের কাছে ২৫-২৬ হাজার টাকা জমানো ছিল। এই বিষয় আহাদ জানতো। মূলত ভারতের সিআইডি সিরিজ দেখে একই কায়দায় মুক্তিপণের টাকার জন্য সোহানকে অচেতন করে লুকিয়ে রাখে আহাদ। এই সিরিজে সে দেখেছে কাউকে ৪০ সেকেন্ড নাক চেপে ধরলে মরবে না, অচেতন থাকবে। তবে দুর্ভাগ্যবশত টাইম কিংবা ধরতে সমস্যা হওয়ায় শিশু সোহান সেখানে মারা যায়।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদের ভাষ্য, সোহানকে হত্যার পর আহাদ নিজেও সবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজি করে। অথচ সে হত্যা করে যেখানে রেখেছে, সেখানে না গিয়ে অন্য জায়গায় খোঁজে। ১৯ মে যখন সোহানের মরদেহ পাওয়া গেল তখনও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। খুনের পর মুক্তিপণের জন্য সোহানের মাকে ফোন করেছিল সে। কিন্তু ফোনটি বাড়িতে রেখে গিয়ে খোঁজাখুঁজির কারণে কলটি রিসিভ হয়নি এবং টাকা চাওয়ার বিষয়টি বলতে পারেনি।
মন্তব্য করুন