- সারাদেশ
- মাঝারি বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম নগরীতে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে নগরবাসী
মাঝারি বৃষ্টিতেই চট্টগ্রাম নগরীতে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে নগরবাসী

বুধবার সকালে চট্টগ্রামে আধা ঘণ্টা বৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরীর কাতালগঞ্জ এলাকা হাঁটুসমান পানি জমে। ছবি: সমকাল
চট্টগ্রাম নগরীতে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিতেই জমে গেছে হাঁটু পানি। বুধবার বজ্রসহ বৃষ্টির পর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। স্কুলফেরত শিশুদের নিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় অভিভাবকদের। বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষকে হাঁটু পানি পেরিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাধারণ সভায়ও এবারের বর্ষায় নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলররা।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ১১ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের আওতায় এরই মধ্যে ব্যয়ও হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। তারপরও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলে জানান নগরবাসী।
তারা বলছেন, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মাঝারি বৃষ্টিতেও পানি জমে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়াতেও হাঁটুসমান পানি জমে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। ছবি: সমকাল
স্থানীয় লোকজন বলছেন, খাল-নালাগুলো বর্জ্যে ঠাসা। খালের পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কারণে পানি নামার পথগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারণে পানি নামতে পারছে না। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
বুধবারের বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবহর, কাপাসগোলা ও পাঠানটুলিসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমে যায়। চকবাজারে গিয়ে দুর্ভোগে পড়া আবদুল হামিদ বলেন, মাঝারি বৃষ্টিতে যদি এমন পরিস্থিতি হয়, তাহলে ভারী বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগর ভেসে যাবে। নগরের খাল-নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে মেয়রকে অনুরোধ করেন তিনি।
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোবারক আলী দাবি করেন, নালা পরিষ্কার থাকায় পানি জমলেও দ্রুত নেমে গেছে। নালা-নর্দমা ও খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থেকে তোলা। ছবি: সমকাল
এদিকে বুধবার চসিকের সাধারণ সভায় এবারের বর্ষায় নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। জনঅসন্তোষের কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ সভায় চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে স্থায়ী প্রকল্প পরিচালক নিয়োগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি এবং ঈদুল আজহার আগে মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক চালুর বিষয়ে চসিক, সিডিএ ও ওয়াসার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মুরাদপুরে কালভার্ট নির্মাণ করায় মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কটি পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই খুলে দেওয়ার দাবি জানান কাউন্সিলররা।
মন্তব্য করুন