- সারাদেশ
- দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবাকে খুন, মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
দ্বিতীয় বিয়ে করায় বাবাকে খুন, মেয়ের মৃত্যুদণ্ড

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পুলিশ প্রহরায় জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরে দ্বিতীয় বিয়ে করার বিরোধে হাফেজ আবুল বাশারকে হত্যার দায়ে তার মেয়ে নিলুফা আক্তারের (৩২) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আবুল বাশারের স্ত্রী সাহিদা পারভীন (৫৮) ও বড় মেয়ে হাফিজা বেগকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুর জজ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের রাষ্ট্র পক্ষে আইনজীবী অ্যাড. নওয়াব আলী মৃধা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের পুলিশ প্রহরায় জেলা হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর সালথা উপজেলার খোয়ারগট্টি গ্রামের হাফেজ আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী সাহিদা পারভীনের সঙ্গে ফরিদপুর শহরের আলীপুড়ের প্রামাণিক পাড়ায় ভাড়া থাকনে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হতো না। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ সময় আবুল বাশার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি সালথায় বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন। ২০১৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর আবুল বাশার তার প্রথম স্ত্রী সাহিদার আলীপুরের বাসায় আসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সাহিদা পারভীন, তার বড় মেয়ে হাফিজা বেগম ও ছোট মেয়ে নিলুফা আক্তার তাকে প্রথমে ঘুমের ওষুধ দিয়ে নিস্তেজ করে কুড়াল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। পরে বটি দিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় আবুল বাশারের ভাই লোকমান ফকির ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন