ফরিদপুরে জেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শনিবার সকালে শহরের কবি জসীম উদ্দীন হলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে তার আগেই এই সম্মেলন ‘অগঠণতান্ত্রিকভাবে অহ্বান করা হয়েছে’ দাবি করে গঠণতান্ত্রিকভাবে সম্মেলন আহ্বান এবং কমিটি থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সম্মেলন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনের একাংশের নেতারা।

বৃহস্পতিবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক শামসুদ্দীন আহমেদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বোরহানুস সুলতান। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন আল কাওসার নাদিম। সংবাদ সম্মেলন শেষে দাবির সমর্থনে মিছিলও বের করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গঠনতন্ত্র না মেনে গত ১৯ মে জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কাজী আব্দুস সোবাহান নগরকান্দাস্থ তার বাগান বাড়িতে সদস্য সচিব ফরিদ মিয়াকে নিয়ে এ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন। কমিটির অন্য নেতাদের মতামত না নিয়েই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে সংগঠনের কোনো বর্ধিত সভা যেমন হয়নি, তেমনি হয়নি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিও।

জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ঘটনাকে সংগঠনের মধ্যে 'ঘাপটি মেরে বসে থাকা প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের' কাজ হিসেবে আখ্যায়িত করে সংবাদ সম্মেলনে জেলা মৎস্যজীবী লীগের সব সদস্যের সঙ্গে আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি করে সবার মতামতের ভিত্তিতে সম্মেলনের তারিখ ও ভেন্যু নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। 

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আব্দুস সোবাহান বলেন, 'যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা দলে সক্রিয় নয়। বিভিন্ন সভায় তাদের ডাকা হয়, কিন্তু তারা আসেন না। ১৯ মে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এটি ঘোষণা করা হয়েছে ২২ মে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ফরিদপুরের শেখ রাসেল স্কয়ারে বর্ধিত সভা ডেকে। তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছেন।'

আব্দুস সোবাহান বলেন, 'সম্মেলন যথারীতি ২৭ মে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমার ধারণা তারা ঝামেলা করার চেষ্টা করতে পারে। এ জন্য আমি পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের বলে রেখেছি।'

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আব্দুস সোবাহানকে আহ্বায়ক ও ফরিদ মিয়াকে সদস্য সচিব করে জেলা মৎস্যজীবী লীগের কমিটির অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্কর।