হাত-পা বাঁধা। মুখ ও গলায় পেঁচানো বিছানার চাদর। এভাবে মেঝেতে পড়ে ছিল সুলতান হোসেনের (৪০) মরদেহ। শুক্রবার ভোরে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে। সুলতানের বাবার নাম আবু মুছা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুলতানের ছয় ভাই। তাঁদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তিন বছর আগে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তাঁর। কোনো সন্তান নেই। স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একাই থাকতেন বাড়িতে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবু সামা নামে সুলতানের এক ভাগনে ফোন করেন ঘাটাইল থানায়। তিনি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক। কর্মরত আছেন জামালপুর জেলায়। ফোনে পুলিশকে সামা জানান, এলাকার জাহাঙ্গীর নামে একজনের মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর মামা সুলতানকে স্থানীয়রা কয়েকদিন ধরে দেখেন না। রাতে ঘরের বাতি জ্বলছে, কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ নেই।

খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, বাইরে থেকে ঘরের দরজা আটকানো। খুলে ঘরে প্রবেশ করে হাত-পা বাঁধা এবং মুখ ও গলায় বিছানার চাদর পেঁচানো অবস্থায় মেঝেতে সুলতানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশ মরদেহ থানায় যায় আসে। সঙ্গে নিয়ে যায় তাঁর ভাই সিরাজ উদ্দিন ও ভাতিজা ফয়সালকে।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মুখ ও গলায় বিছানার চাদর পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই ও ভাতিজাকে থানায় আনা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।