বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এতে নগরীর পাড়া-মহল্লা মুখর হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর পরপরই আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে নগরীর প্রধান সড়কসহ অলিগলি। সময় মেনে দুপুর ২টার পর মাইকের প্রচারণা শুরু হয়। 

প্রথমে মেয়র ও পরে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক নির্ধারিত হয়ে যাওয়ার পরই নিজ নিজ এলাকায় ফিরে মিছিল ও ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন তাঁরা।  মেয়র প্রার্থীরা জুমার নামাজের পর প্রচারকাজ শুরু করেন। তাঁরা সবাই নগরীর বর্ধিত এলাকা থেকে প্রথম দিনের প্রচারে নামেন।

জনসংযোগ করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম - সমকাল

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ জুমার নামাজ আদায় করেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী হাউজিং জামে মসজিদে। পরে তিনি মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ভোট প্রার্থনা করেন। বিকেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কলাডেমায় উঠান বৈঠকে তিনি বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই আমাকে বরিশালে প্রার্থী করেছেন। আমাকে ভোট দিয়ে আপনারা প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সুযোগ নিন। 

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম নগরের বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে সদর রোডে গণসংযোগ করেন। বিকেলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানপাড়া, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং রাতে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলীতে গণসংযোগ করেন তিনি।

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস - সমকাল

জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস প্রতীক পাওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করে নগরী প্রদক্ষিণ করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোতাশাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে বিকেলে তিনি ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহজালাল স্কুলে নির্বাচনী কর্মিসভায় বক্তৃতা করেন।

বরিশালে মেয়র প্রার্থী সাতজন। অপর প্রার্থীরা হচ্ছেন– জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমান (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রূপন (ঘড়ি), আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) ও আসাদুর রহমান (হাতি)।