বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমাদের ৪০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমাদের কোন জেলে রাখবেন? পুরো দেশটাই তো জেলখানা হয়ে গেছে। মামলার ভয় দেখাবেন না, গুমের ভয় দেখাবেন না। সময় কিন্তু ঘনিয়ে এসেছে। তাই আওয়ামী লীগ হামলা করলে পাল্টা জবাব দেবেন। 

শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জের জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মিথ্যা মামলা, পুলিশি হয়রানিসহ ১০ দফা দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আজাদ হোসেন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন কান্ত পণ্ডিত ভজন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরতাজ আলম বাহার, জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু, সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ কবির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিন্নাহ খান, সদস্যসচিব রকিবুল ইসলাম রাকিব, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আব্দুল কাদের, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবিহা হাবিব, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল খালেক শুভ প্রমুখ।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, আজ আমাদের কথা বলার অধিকার নেই, মিছিল-মিটিংয়ের অধিকার নেই, আমাদের পেটে ভাত নেই। দেশের সব টাকা-পয়সা লুট হয়ে যাবে আর আমরা বসে তামাশা দেখব? দেশের জনগণ ১৪ বছর তামাশা দেখেছে, আর দেখতে চায় না।

সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি দাবি করে বিএনপি এ নেতা বলেন, যারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে না, তারা কখনই জনগণের কল্যাণ চিন্তা করতে পারে না। ডলার ও টাকা পাচার হওয়ায় আজ দেশে কৃত্রিম সংকট চলছে। এই সংকটের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য আমরা সমাবেশ করছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করে মির্জা আব্বাস বলেন, কিসের প্রতিরোধ? আমরা তো একাত্তরে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম। আপনা কিসের প্রতিরোধ করবেন? বাংলার মানুষ যখন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে, ভোটের অধিকারের জন্য রাজপথে নামে, তখনই আপনারা প্রতিরোধ করবেন। এই হচ্ছে আপনাদের মতলব। জনগণ আপনাদের এই প্রতিরোধ সহ্য করবে না। প্রতিরোধ যদি আপনারা করেন, সেই প্রতিরোধের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধ হবে। কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি যদি চুরি-ডাকাতি করতে গেলে প্রতিরোধ করেন তাতে আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যখন জনগণের ভোটাধিকার, কথা বলার অধিকার আদায়ের জন্য মিছিল-সমাবেশ করব, আর প্রতিরোধের নামে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাবেন, এটা আমরা সহ্য করব না।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিদায় ঘণ্টা বেজে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা আবোলতাবোল বলতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়া হবে। এটা কী হত্যার হুমকি নয়? ফজলে নূর তাপস বলেছেন, যে সব সুশীল সমাজের প্রতিনিধি তাদের বুদ্ধি দিতে যাবেন, তাদের বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেবেন! এটা কী হত্যার হুমকি নয়? এতে কয়জন গ্রেপ্তার হয়েছে?