রাজশাহীর চারঘাটে শুরু থেকেই সড়কের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছিল। গত বুধবার রাতে হঠাৎ রাস্তা পরিষ্কার না করেই পিচ ঢালাই দেওয়া হয়। পরদিন হাত দিতেই উঠে যায় সেই পিচ। কাজে বাধা দেওয়ায় ঠিকাদারের ভাড়াটে লোকজন গ্রামবাসীকে পিটিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। 

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরদহ বাজার থেকে সাদীপুর হয়ে শলুয়া মালেকার মোড় পর্যন্ত আট কিলোমিটার ও দুর্গাপুর এলাকায় তিন কিলোমিটার পিচঢালা রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ করছে মাসুদ হাইটেক। 

সাদীপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তাঁরা হাত দিয়ে পিচ উঠে যাওয়ার দৃশ্য দেখান। ফের এ রাস্তা নির্মাণের দাবি জানান। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীর ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।

সাদীপুর এলাকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, রাত ১১টার দিকে রাস্তায় পিচ দেওয়া হয়েছে। এক দিনের মাথায় পিচ উঠে যাচ্ছে। কয়েকজন কাজে বাধা দেওয়ায় ঠিকাদারের ভাড়াটে ৮ থেকে ১০ লোক এসে আমাদের বেধড়ক মারধর করেছে। 

একই এলাকার শাহিনুল ইসলাম বলেন, মাঝরাতে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়েছে। সকালে ভ্যান যাওয়ার সময় চাকার সঙ্গে পিচ উঠে যাচ্ছিল। এ সময় কয়েকজন রাস্তায় হাত দিলে পিচ উঠতে থাকে। এমন রাস্তা জীবনেও দেখিনি ৷ অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধ করতে বললে ঠিকাদারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে।

মাসুদ হাইটেকের প্রতিনিধি সোহান আলী বলেন, অন্য সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কাজ শেষে কিছু পিচ অবশিষ্ট থাকায় সেগুলো রাতে সাদীপুর সড়কে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো উঠে গেছে বলে প্রচার চালানো হচ্ছে; যা সঠিক নয়। গ্রামবাসীকে মারধর করার অভিযোগও সঠিক নয়। 

রাজশাহী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ মো. আসিফ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। কার্পেটিং তুলে ফেলে রাস্তা পরিষ্কার করে ফের পিচ দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।