- সারাদেশ
- ভোগ্যপণ্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি
সাক্ষাৎকার
ভোগ্যপণ্য নিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি

আবুল বাসশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম
সমকাল: মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না কেন? মনিটরিংয়ের কোন জায়গায় দুর্বলতা আছে?
ফখরুজ্জামান: মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি আমরা। কিন্তু আমাদের জনবল সংকট আছে; আছে প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতাও। ব্যবসায়ীরা যদি তাঁদের নীতি-নৈতিকতা ঠিক না করেন, জনগণ যদি প্রতিরোধ না করে, তাহলে প্রশাসনের পক্ষে শুধু অভিযান পরিচালনা করে এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। আমরা মনিটর করে দেখছি কে কী পরিমাণ পণ্য এনেছে। এটি ধরে পুরো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছি না। সামনে ঈদ আছে। আমাদের কঠোর অবস্থানে পরিস্থিতি আবার নাগালের বাইরে যেতে পারে। তাই আমরা নীতি-নৈতিকতার ব্যাপারে মোটিভেট করছি। সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি।
সমকাল: খুচরা ও পাইকারি দোকানে অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি আসলে কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে? কেন বড় জায়গায় হাত দিচ্ছে না প্রশাসন?
ফখরুজ্জামান: দেখুন, ভোগ্যপণ্য নিয়ে শুধু আমরা কাজ করছি না। এটির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় আছে। বাণিজ্যের সঙ্গে আবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংযোগ আছে। চাইলেই সবকিছু করা যাচ্ছে না। নিয়মের মধ্যে থেকে যতটুকু করা যায় তার সর্বোচ্চটুকু করছি আমরা। পাইকারি মোকাম খাতুনগঞ্জে এরই মধ্যে অভিযান চালিয়েছি। সেখানে কার কাছে কী পণ্য আছে, সেটিও আমরা সংগ্রহ করেছি। মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। বড় পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে মন্ত্রণালয়কে।
সমকাল: আপনারা যে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, সেখানে কী আছে?
ফখরুজ্জামান: ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ও চাহিদা ঠিক রেখে কীভাবে এটিকে আয়ত্তে আনা যায়, সেই কৌশল প্রসঙ্গে আলোকপাত করেছি। কারা কত পণ্য এনেছে, কীভাবে তারা বাজারজাত করছে, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে কে কীভাবে যুক্ত আছে– এসব বিষয়ে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা চেয়েছি পরিবর্তনটা যাতে টেকসই হয়। গোড়া ধরে পরিবর্তন আনতে না পারলে এই অব্যবস্থাপনা বছরের পর বছর চলতে থাকবে।
সমকাল: ঈদকে সামনে রেখে ভেজাল কারবারিরা এরই মধ্যে সক্রিয় হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কীভাবে অভিযান পরিচালিত হবে?
ফখরুজ্জামান: ভেজাল কারবারিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাহিনী কাজ করছে। র্যাবের একটি টিম এরই মধ্যে ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরাও অভিযান জোরদার করতে যাচ্ছি। কারও কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা আমাদের অবহিত করবেন। আমরা তথ্য যাচাই-বাছাই করে অপরাধীকে শনাক্ত করব। ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে। কারও একার পক্ষে এ খাতকে সুশৃঙ্খল করা সম্ভব নয়। সম্মিলিত চাপ দিয়েই ঠিক করতে হবে সব অনিয়ম।
সমকাল: ভ্রাম্যমাণ আদালত আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কেন?
ফখরুজ্জামান: আমদানিকারক বা মিল মালিকের সবাই চট্টগ্রাম থাকেন না। এখানে সবার কারখানাও নেই। তারপরও অন্য জেলার তুলনায় চট্টগ্রামে অভিযান বেশি পরিচালিত হয়। আমরা অনেক আগে থেকেই অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি, শিগগিরই ভালো ফল দেখতে পাবে চট্টগ্রামবাসী। আমরা এই অনিয়মের মূলোৎপাটন করতে চাচ্ছি। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা লাগবে। সেখান থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে, সে অনুযায়ী কাজ করবে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন।
মন্তব্য করুন