রাজধানীর ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে এক সময় প্রধান মাধ্যম ছিল পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট। পদ্মা সেতু চালুর পর এ রুট দিয়ে যাত্রী চলাচল কমলেও দিনে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ যাতায়াত করেন। ফেরি দিয়ে পারাপারের সময় তাঁদের একরকম জিম্মি করে খাবারের ব্যবসা চলছে। প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছনার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ।

প্রতিটি ফেরির ক্যান্টিনে খাবারের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। এতে ১২০ টাকায় দুই প্লেট ভাত, দুই টুকরা খাসির মাংস, দুই টুকরা আলু, এক পেয়ালা ডাল ও ভাজি পাওয়ার কথা। খাসির বদলে মুরগির মাংস দিয়ে ভাত খেলেও একই দাম। মাংস বাদ দিয়ে মাছ নিলে দাম রাখার কথা ১৩০ টাকা। আর দুটি ডিম, দুই প্লেট ভাত, এক পেয়ালা ডাল ও ভাজির দাম ধরা হয়েছে ৮০ টাকা। দেখা গেছে, এক টুকরা মাছ, দুই প্লেট ভাত ও এক পেয়ালা ডালের দাম রাখা হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। প্রতি কাপ চা বিক্রি হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়। ১৫ টাকার বোতলজাত পানির দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা।

যাত্রীরা বলছেন, পণ্যের গায়ের মুদ্রিত দামের চেয়ে ৫ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখা হয়। সম্প্রতি মতিউর রহমান ফেরি দিয়ে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ায় যাচ্ছিলেন আলী হোসেন। তিনি বলেন, ফেরির ক্যান্টিনে প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে বিক্রেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়।

ভাষাশহীদ বরকত ফেরির খুলনাগামী যাত্রী আরান শেখ বলেন, ‘এক টুকরা মাছ ও এক প্লেট ভাত, এক পেয়ালা ডাল খেয়েছি। এর দাম রাখে ১৬০ টাকা।’

ওই ফেরির ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক আ. গফুর বলেন, ক্যান্টিনের ভাড়া হিসেবে তাঁদের প্রতিদিন দিতে হয় ৬ হাজার টাকা। এ কারণে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল বলেন, প্রতিটি ফেরিতে ঝুলিয়ে রাখার জন্য খাবারের মূল্য তালিকা দেওয়া হয়েছে। এর বেশি দাম নেওয়ার নিয়ম নেই।