সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বাংলাবাজার-বাঁশতলা সড়কে মরাচেলা বালি নদীর ওপরে সেতু নির্মিত হয়েছে প্রায় দেড় বছর আগে। তবে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক এখনও পাকা না করায় দুর্ভোগ কমছে না এলাকাবাসীর।

উপজেলা প্রকৌশলীর অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ২০২২ সালে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে মরাচেলা নদীর ওপর ৭২ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এই সড়কে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, চৌধুরীপাড়া, হকনগর, মৌলারপাড়সহ অন্তত ১৫টি এলাকার মানুষ চলাচল করেন। এ ছাড়া বাংলাবাজার, বড়খাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলাউড়া ফাজিল মাদ্রাসা ও বোগলাবাজার ইউনিয়নের আলমখালী গ্রামের ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ নিয়মিত চলাচল করেন এই সড়কে। সেতুর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কে বালু থাকায় ছোট ছোট যানবাহন চলাচল কঠিন ব্যাপার। বৃষ্টি হলে অ্যাপ্রোচের বালু ধুয়ে নদীতে চলে যায়। সৃষ্টি হয় গর্ত। ভাঙনের কারণে নতুন সেতুটিও ঝুঁকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় অটোরিকশাচালক সফিক মিয়া জানান, সেতু থাকতেও চলাচলে অনেক কষ্ট হয়। দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক বালু দিয়ে তৈরি করায় সামান্য বৃষ্টিতেই গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে গাড়ি চালাতে সমস্যা হয় তাঁদের। যাত্রীদেরও সহ্য করতে হয় চরম ভোগান্তি।

বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোছাইন জানান, বাংলাবাজার-বাঁশতলা সড়কের জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুর দুই পাশে অ্যাপ্রোচ সড়ক পাকাকরণ সময়ের দাবি। যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপ্রোচ পাকা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মনছুরুল হক জানান, অ্যাপ্রোচ সড়ক পাকা করার লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষ করে সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।