- সারাদেশ
- আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী গড়ার অঙ্গীকার ৪ মেয়র প্রার্থীর
আধুনিক ও বাসযোগ্য নগরী গড়ার অঙ্গীকার ৪ মেয়র প্রার্থীর

খুলনা নগরীকে জলাবদ্ধতামুক্ত, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪ মেয়র প্রার্থী। সোমবার নগরীর হোটেল সিটি ইনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন আয়েজিত ‘জনতার মুখোমুখি’ অনুষ্ঠানে তাঁরা এ অঙ্গীকার করেন।
অনুষ্ঠানে নাগরিক নেতারা বলেন, নগরীতে এখনও অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক সড়ক ভাঙাচোরা। সব ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কের ওপর ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায়। অলিগলিতে পর্যাপ্ত সড়কবাতি নেই। পার্কগুলো বেহাল। পানি নিষ্কাশনের ২২টি খাল অবৈধ দখলে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়নি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠান করার জন্য সিটি করপোরেশনের বড় কোনো হল নেই। বস্তিগুলোতে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ নেই। নগরীতে বছরজুড়েই থাকে মশার উপদ্রব। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বক্তারা আরও বলেন, রাজশাহী নগরীর বেশ কয়েকটি সড়কে সৌন্দর্য বর্ধন করা হয়েছে; কিন্তু খুলনায় তা হয়নি। একটি বড় দল প্রার্থী না দেওয়ায় এবারের নির্বাচন এখনও উৎসবমুখর হয়নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মো. মোস্তফা নূরুজ্জামান। বক্তব্য দেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, নাগরিক নেতা শাহীন জামাল পন, মিনা আজিজুর রহমান, অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, গ্লোবাল খুলনার আহ্বায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, ইসমত আরা হীরা প্রমুখ।
এতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, নগরীতে যেসব দুর্ভোগের কথা নাগরিক নেতারা তুলে ধরলেন, সেগুলো নিরসনে কাজ চলমান রয়েছে। উন্নয়ন কাজগুলো শেষ হলে অনেক ধরনের দুর্ভোগ নিরসন হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ চলছে। তবে নগরীর পানি ভৈবর ও রূপসা নদী দিয়ে নিষ্কাশিত হয়। এ দুটি নদীর তলদেশ পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। নদী খনন করা প্রয়োজন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানালে তিনি এই কাজে সম্মতি দিয়েছেন। ভেঙে ফেলা পাবলিক হলের স্থানে বহুতলবিশিষ্ট সিটি হল নির্মাণের জন্য প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মো. আবদুল আউয়াল বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। খালগুলো অবৈধ দখলে থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারে না। তরুণরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তিনি মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে জলাবদ্ধতা নিরসন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও বেকারত্ব দূর করার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু প্রশ্ন তোলেন গত ৩০ বছর যাঁরা মেয়র ছিলেন, তাঁরা কেন মানুষের দুর্ভোগ নিরসন করতে পারলেন না? আর কতকাল নাগরিক নেতারা জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরবেন? তিনি বলেন, ময়ূর নদের পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধে তীরে দাঁড়ানো যায় না। নগরীতে ভালো মানের পাবলিক টয়লেট নেই। পাবলিক হল ভেঙে সেখানে নতুন কোনো হল নির্মাণ করা হয়নি। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে পর্যায়ক্রমে সব নাগরিক দুর্ভোগ নিরসন করবেন।
জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন বলেন, ড্রেন ও সড়কের ময়লা-আবর্জনা ঠিকমতো অপসারণ করা হয় না। সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। তিনি নির্বাচিত হলে সব সংস্থার সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন।
মন্তব্য করুন