- সারাদেশ
- কানাইঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫
কানাইঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

অভিযুক্ত আসামিরা- সমকাল
সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার উপজেলার বীরদল বাজার ও এর আশপাশে ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেবেন বলে সমকালকে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সর্দারীপাড়ার ও বর্তমানে বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের বিলাল আহমদের ছেলে ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুল করিম (২৮) ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর ছেলে জুবেল আহমদ (২৪)।
পুলিশ ও মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, তিন সপ্তাহ আগে কানাইঘাট সরকারি হাসপাতালে দুদু মিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় এক গৃহবধূর। এর পর একাধিকবার মোবাইল ফোনে তাদের কথাবর্তা হয়। ওই গৃহবধূর ৯ মাস বয়সী মেয়ে শারিরীক অসুস্থ থাকায় দুদু মিয়ার কাছে তিনি পরামর্শ চান। দুদু জকিগঞ্জ উপজেলার পুটিজুরি এলাকার এক কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করানোর কথা বলে। তার কথামত গত রোববার সন্তানকে নিয়ে পুটিজুরি যান গৃহবধূ। সেখান থেকে শিশু সন্তানসহ গৃহবধূকে কৌশলে দুদু মিয়া তার বাড়ির এলাকা বীরদল বাজারে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে দুদু মিয়া তার সহযোগী হেলাল, ফরহাদ, আব্দুল করিম মিলে জুবেল আহমদের অটোরিকশায় করে গৃহবধূকে বীরদল পুরানফৌদ পিপি হাবিব আলীর বসত বাড়ির পুকুর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে হেলাল ও ফরহাদ গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর শিশুসহ ভিকটিমকে সেখানে রেখে পালিয়ে যায় তারা। মধ্যরাতে স্থানীয় লোকজন গৃহবধূ ও তার শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। সোমবার গৃহবধূ বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ ১২ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এদিকে মঙ্গলবার ভিকটিমকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ও গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে তারা জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। জবানবনন্দি না দিলে পুলিশ রিমান্ড আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ওসি গোলাম দস্তগীর।
মন্তব্য করুন