অনিয়ম ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরের হামজারবাগ এলাকার রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তৈয়বকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. তালেব আলী মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, গত ৮ মে চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে বিদ্যালয়ের একজন অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক অনিয়ম, বিধিবহির্ভূতভাবে মোটা অঙ্কের ঘুষ গ্রহণ করে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগসহ নানা অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার ওই কমিটি তদন্ত করতে যায়।

এ সময় আবু তৈয়ব তদন্ত কমিটির সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তদন্ত কাজে বাধা দেন। ২৩ মে সভাপতির পাঠানো নোটিশ গ্রহণ করেননি তিনি।

আদেশে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড আপিল অ্যান্ড আরবিট্রেশন কমিটির ২০০৫ সালের ৭ মের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত হন আবু তৈয়ব। ওই বরখাস্ত আদেশ এখনও বলবৎ আছে। তাই প্রধান শিক্ষকের চাকরির বৈধতা নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদ্যালয়ের ইতিহাস বিকৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করার অভিযোগেরও সত্যতা পাওয়া যায়। বরখাস্তের আদেশ ৩০ মে থেকে কার্যকরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৮ ও ২৯ মে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন দুই শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ঘুষ হিসেবে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ করা হয়। নিয়োগের সময় ওই দুই শিক্ষকের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার কথা অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

এ ছাড়া ২৬ মে দু’জনকেই আরও ৫০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে চাপ দেন ওই প্রধান শিক্ষক। টাকা না দিলে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।

ঘুষ গ্রহণসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আবু তৈয়বের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তালেব আলী বলেন, আবু তৈয়ব দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিদ্যালয়ে চাকরি করছিলেন।