জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে রাস্তায় আটকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে এক নেতার মনোনয়ন দাবি করার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা ৩টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে গাড়িবহর আটকে সিদ্দিকুল আলমের অনুসারীরা এ দাবি জানান। সিদ্দিকুল নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

অপ্রত্যাশিত এ দাবিতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন জি এম কাদের ও তাঁর গাড়িবহরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির একাংশ। তাঁরা বলছেন, লোক ভাড়া করে নির্বাচনের এত আগে এমন দাবি গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।

তবে সিদ্দিকুল আলম বলেছেন, এ ধরনের দাবি সমর্থকরা নিজে থেকে করেছেন। এতে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেন এ আসনে এমপি প্রার্থী হই, তা স্থানীয় নেতাকর্মী চান। কারণ বর্তমান এমপি সৈয়দপুরের উন্নয়নে বৈষম্য করেছেন। দৃশ্যমান কাজ করেছেন কিশোরগঞ্জে। এখানে কিছুই করেননি।’

জানা গেছে, পাঁচ দিনের সফর শেষে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন জি এম কাদের। এ সময় সিদ্দিকুল আলমের অনুসারীরা আগামী নির্বাচনে তাঁকে দলের প্রার্থী করার দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যানের গাড়িবহর আটকে দেন। পরে জি এম কাদের তাঁদের দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিলে রাস্তা থেকে সরে যান। চেয়ারম্যানের সঙ্গে নীলফামারী-৪ আসনের এমপি আহসান আদেলুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা ছিলেন।

পরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জি এম কাদের বলেন, ‘নীলফামারী-৪ আসনে পার্টির ভিত্তি মজবুত বলেই একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চান। তবে জনসমর্থনহীন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের মতামত গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

জাতীয় পার্টির উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব জি এম কবির মিঠু বলেন, ‘চেয়ারম্যানের গাড়িবহর আটকে মনোনয়ন দাবি করা কখনও সাংগঠনিক প্রক্রিয়া হতে পারে না। সিদ্দিকুল আলম টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করে সবাইকে বিব্রত করেছেন।’